আজীবনের অনারারি সম্পাদকের মর্যাদা পেলেন গ্রামে অবস্থানকারী প্রথম সম্পাদক
ওয়াং ওয়েন কাং দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “২০২৫ সালে আমাদের গ্রামে গরুর সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যাবে এবং গ্রামবাসীদের উপার্জন দ্বিগুণ ছাড়ানোর লক্ষ্য বাস্তবায়িত হবে।”
সেনাবাহিনী ত্যাগ করার পর সম্পাদক নিযুক্ত হন ওয়াং ওয়েন কাং। তাই তার জন্য গ্রামের কর্মকর্তাদের হোস্টেলে থেকে প্রতিটি দরিদ্র পরিবারে যেতে কত ধাপ লেগেছে, তা সেনাবাহিনীতে সারিবদ্ধ হয়ে নম্বর গণনার মতো মুখস্ত বলতে পারেন তিনি।
“গ্রামবাসীরা আপনাকে খোঁজেন। এটি আপনার ওপর তাদের আস্থার প্রতিফলন। দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য করতে শুধু চিত্কার করা নয়; বরং পরিশ্রমের মাধ্যমেই তা অর্জন করা যায়।” ওয়াং ওয়েন কাং সব সময় এ কথা বলেন। তিনি ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকেন। বিনিয়োগ আকর্ষণ থেকে পরিবারের সামান্য বিষয় পর্যন্ত তিনি সবকিছুর ওপর মনোযোগ দেন। তাই গ্রামবাসীরা তাঁকে ‘সব সময় ব্যস্ত সম্পাদক’ হিসেবে প্রশংসা করেন।
“চীনে একটি প্রবচন আছে: মানুষকে মাছ দেওয়ার চেয়ে মাছ ধরার পদ্ধতি জানানো ভালো। কেবল প্রেসক্রিপশন ঠিক থাকলে দারিদ্র্য-রোগ নির্মূল করা যায়। স্থানীয় বাস্তব অবস্থা অনুযায়ী দরিদ্রদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন।” ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর ওয়াং ওয়েন কাং দারিদ্র বিমোচনের ডায়রিতে এ সব কথা লিখেছেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে তোং ফাং হোং গ্রামে ভুট্টা চাষ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। তা শি চাই উপজেলার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রযুক্তিবিদ প্রশিক্ষণে শিক্ষাদান করেন। ২৪৬ জন গ্রামবাসী প্রশিক্ষণে অংশ নেন। বীজ বাছাই, সার প্রয়োগ কমানো এবং বীজ বপণ করাসব নানা বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয় ক্লাসে।
২০২০ সালে গ্রামীণ গ্রিড নবায়ন করার আগে তোং ফাং হোং গ্রামে কেবল দুটি ট্রান্সফরমার ছিল, যার মোট ক্ষমতা ছিল ১৫০ কেভিএ। গ্রামে যেটি ব্যবহৃত হতো, সেটির ক্ষমতা ছিল মাত্র ১৭৬ ভোল্ট। সেটা দিয়ে মাঝ্যমধ্যেই রান্না করা, জল সিদ্ধ করা বা বাতি জ্বালানো যেত না।