বাংলা

গোল্ডেন ক্যামেলিয়া থেকে সুখী জীবন গড়েছে ফাং ছেং অধিবাসীরা

CMGPublished: 2023-08-18 11:26:53
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

উদ্ভিদ জগতের পান্ডা কাকে বলে? চীনের কুয়াং সি চুয়াং জাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ফাং ছেং কাং শহরের ফাং ছেং অঞ্চল ‘উদ্ভিদ জগতের পান্ডা চাষের জন্য বিখ্যাত।

গোল্ডেন ক্যামেলিয়ায় সোনালি পাপড়ি এবং গাঢ় লাল পুংকেশর রয়েছে। সবুজ পাতার পটভূমিতে সোনালি পাপড়ি এবং জেড পুংকেশরের ফুলগুলো উজ্জ্বল ও অসাধারণ সুন্দর দেখায়। এ ফুল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক গবেষণা চলছে। পাশাপাশি এ ফুলগাছ কৃত্রিমভাবে ফাংছেং অঞ্চলের একটি বড় এলাকাজুড়ে রোপণ করা হয়েছে। ফুল ও পাতাগুলো চা তৈরি করতে এবং ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা যায়, যা স্থানীয়দের সমৃদ্ধ করে তোলার জন্য একটি সোনালী শিল্পে পরিণত হয়েছে।

গোল্ডেন ক্যামেলিয়া অতি পুরোনো এক উদ্ভিদ। এ উদ্ভিদ আবিষ্কৃত হওয়ার আগে মানুষেরা শুধু লাল ও সাদা রঙের ক্যামেলিয়া দেখেছে। গোল্ডেন ক্যামেলিয়া অনেকের কল্পনার বাইরে ছিল। গত শতাব্দীর ষাট ও সত্তরের দশকে চীনের উদ্ভিদবিদরা কুয়াং সি’র পবর্তাঞ্চলে গোল্ডেন ক্যামেলিয়া আবিষ্কার করেন। তারপর গোল্ডেন ক্যামেলিয়া মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। ১৯৯৪ সালে ছাং ছেং কাং শহরে গোল্ডেন ক্যামেলিয়ার জন্য জাতীয় প্রাকৃতিক সংরক্ষণ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

এক সময় গোল্ডেন ক্যামেলিয়া উপভোগের জন্য বিরল ছিল। তবে গবেষণায় জানা গেছে, এ উদ্ভিদের ফুল ও পাতা রক্তের লিপিড, রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে। তাই ২০১১ সাল থেকে ফাং ছেং অঞ্চলে এ ফুল চাষকে কেন্দ্র করে অনেক প্রকল্প চালু হয়েছে। বিরল এ ফুলটি কৃত্রিমভাবে ব্যাপক পরিমাণে রোপণ ও চাষ করতে সক্ষম হয়েছে সেখানকার বাসিন্দারা।

গোল্ডেন ক্যামেলিয়ার পাতা ও ফুল দুটোই খাওয়া যায়। গোল্ডেন ক্যামেলিয়া চাষী তেং সি চি এ কথা জানান। তেং সি চি’র পরিবার ৪০ হেক্টর জমিতে গোল্ডেন ক্যামেলিয়া চা চাষ করেছে। বার্ষিক শুকনো ফুলের উৎপাদনের পরিমাণ আড়াই কেজি, যার মূল্য ২০ লাখ ইউয়ানেরও বেশি।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn