বাংলা

প্রতিবন্ধীদের সুন্দর জীবন গড়ায় বদ্ধপরিকর সি চিন পিং

CMGPublished: 2023-05-26 21:37:48
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, কোনো প্রতিবন্ধীকে বাদ দিয়ে সার্বিক সচ্ছল সমাজ গড়ে তোলা যায় না। দুর্যোগ-কবিলত মানুষদের সুখী জীবন নিশ্চিত করতে চীন সরকার ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সিপিসির কেন্দ্রীয় কমিটির অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং দুর্যোগ-কবলিত মানুষদের ওপর বিশেষ দৃষ্টি রেখে আসছেন এবং তাদের যত্ন নিয়েছেন। তিনি বহুবার তাদের গণজীবিকার উন্নয়নে এবং মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

গত দশ বছরে এসব মানুষের জীবন আরও সুখী ও সুন্দর হয়েছে। তাঁর নেয়া একের পর এক নীতি শীতল দিনের উষ্ণ সূর্যালোকের মতো দুর্যোগ-কবলিত মানুষদের মনে সুন্দর জীবনের প্রত্যাশা জ্বালিয়েছে।

শরতকালে প্রতিদিন ছিন পা পর্বতাঞ্চলের গভীরে অবস্থিত সায়ান সি প্রদেশের পাই হ্য জেলার সোং শু গ্রামের ৩৬ বছর বয়সী সোং তোং ইয়াং সকালের নাস্তা সেরে পানি ও খাবার সঙ্গে নিয়ে ২০০টিরও বেশি ছাগল পাহাড়ে নিয়ে যান। ডান হাত না থাকলেও সোং তোং ইয়াং’র আছে ৭ বছরের পশু পালনের অভিজ্ঞতা। তাই এ কাজে ব্যাপক সক্ষমতা রয়েছে তার। ২০১২ সালে কাজ করার সময় আকস্মিক দুর্ঘটনায় ডান হাত হারিয়েছেন তিনি। তাতে তিনি খুব মর্মাহত হয়েছিলেন। কারণ তিনি তার পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী ছিলেন। তার জীবন এবং পরিবার কীভাবে চলবে, তা নিয়ে তিনি খুব চিন্তিত ছিলেন।

সোং তোং ইয়াং একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। আবার তিনি বিশেষ কোনো কারিগরি বিদ্যায়ও পারদর্শী ছিলেন না। ফলে ২০১৫ সালে তাকে দরিদ্রদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নিজের গ্রামে দরিদ্রদের জন্য নানা সমর্থক নীতি থাকার খবর জেনে সোং তোং ইয়াং ও তার স্ত্রী গ্রামে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। সরকারের দেওয়া ৫০ হাজার ইউয়ান সুদ-বিহীন ঋণ তিনি ছাগল পালন শুরু করেন। শুরুতে প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতার অভাবে তার ছাগল প্রায়ই মারা যেত। তার অনেক ক্ষতি হত। তবে, ঠিক সে সময় সরকারী প্রশিক্ষণ কোর্স চালু হয় এবং জেলা পর্যায়ের প্রতিবন্ধী অ্যাসোসিয়েশনের অর্থ সাহায্যে তিনি সে দুর্যোগ কাটিয়ে উঠেন।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn