মুদ্রায় চীনের নির্মাণ: লাওসের ভ্যাং ভিয়েং সিমেন্ট প্ল্যান্ট
লাওসের ভ্যাং ভিয়েং সিমেন্ট প্ল্যান্টের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক জানান, চীনের বিশেষজ্ঞরা আন্তরিকভাবে আমাদের নানা প্রযুক্তি শিখিয়েছেন। তারা লাও ভাষা বা ইংরেজি ভাষায় আমাদের প্রযুক্তি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে দেন। আমরা বুঝতে না পারলে তাঁরা বাস্তব কাজের মাধ্যমে করে দেখান এবং আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। সে সময় আমরা নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। কারণ, আমরা প্রথম দলের কর্মী, যারা চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছিলাম।
ভালো প্রযুক্তি ও গুণগত মানসম্পন্ন পণ্যের কারণে এ কারখানায় উত্পাদিত সিমেন্ট বাজারে আসার পরপরই ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। একসময় বাজারে যে পরিমাণ চাহিদা ছিল, তা মেটাতে পারছিল না কারখানাটি।
ভ্যাং ভিয়েং সিমেন্ট কারখানার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান বলেছেন, সে সময় সিমেন্ট উৎপাদনের পরিমাণ যথেষ্ঠ ছিল না। বিশেষ করে লাওসের দ্রুত উন্নতি হচ্ছিল। বাধ ও রাস্তা নির্মাণসহ নানা প্রকল্পে সিমেন্টের চাহিদা অনেক বেড়েছে। সে চাহিদা মেটানো মুশকিল ছিল। একসময় এমন মজার কথা প্রচলিত ছিল- পয়সা থাকলে সোনা কিনতে পারেন, তবে সিমেন্ট কেনা কঠিন!
প্রায় ৩০ বছরের উন্নয়নের পর, লাওসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নির্মাণকাজে সে কারখানার সিমেন্ট অপরিহার্য হয়ে ওঠে। সিমেন্ট কারখানাটি লাওসে অর্থনীতি গঠনে নির্ণায়ক ভূমিকা পালন করে। স্মরণে ১৯৯৭ সালে একে ৫০০০ কিপ নোটে প্রিন্ট করা হয়।
ভ্যাং ভিয়েং সিমেন্ট কারখানার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান বলেছেন, ৫০০০ কিপ নোট সবসময় বৃহত্তম নোট। আমি সে প্ল্যান্টের কর্মী হিসেবে খুব গৌরব বোধ করি।
একটি নোটে চীন ও লাওসের নির্মাতাদের পরিশ্রমী ও মেধাবীদের গল্প প্রতিফলিত হয়েছে। চীন ও লাওসের মধ্যে এমন ঘনিষ্ঠ সহযোগিতামূলক গল্প আরও অনেক রয়েছে।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠান এ পর্যন্তই। আমাদের অনুষ্ঠান কেমন লাগলো? আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের ফেসবুকের মেসেঞ্জার ব্যবহার করতে বা আমাদের ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করতে ভুলবেন না। আমাদের ইমেইল ঠিকানা হলো: । আপনাদের চীনের বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি আজকের অনুষ্ঠান। সবাই ভালো থাকুন ও সুস্থ থাকুন।