চীনা জনগণের বাসস্থান সমস্যা কিভাবে সমাধান হয়
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সি চিন পিং বেইজিংয়ের হুথুং পরিদর্শন করেন।
তিনি সবাইকে বলেন, হুথুং এলাকা তাঁর কাছে খুব পরিচিত। আজ তিনি এখানে পুরানো প্রতিবেশীদের দেখতে এসেছেন, পুরানো এলাকার পুনর্নির্মাণ কাজে সবার মতামত শুনতে এসেছেন।
ছুং পাও ছাই বলেন, প্রেসিডেন্ট সি আমাদের জিজ্ঞেস করেন, চাকরি কেমন, আয় ভালো কিনা, কিভাবে রান্না করেন, হিটিং ব্যবস্থা আছে কি, টয়লেট খুব দূরে কিনা।
সি চিন পিং তখন বলেন, পুরানো এলাকার পুনর্নির্মাণ করতে নানা কাজ করতে হয়। কাজের পরিমাণ আসলে বেশি। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এই কাজ ভালোভাবে করতে হয়। আর সবাইকে এতে সমর্থনও দিতে হয়। যৌথভাবে জনগণের কাজ করায় সরকারকে সমর্থন করতে হয়।
২০১৫ সালে তুং ছেং ডিস্ট্রিক্টের স্থানান্তর ব্যবস্থাপনা শুরু হয়। এক্ষেত্রে জনগণ নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী আবেদন করেন, হুথুংয়ে থাকতে চাইলে হুথুংয়ে থাকতে পারেন, থাকতে না চাইলে সরকারের কাছে আবেদন করা যায়। সরকার তাদের নির্দিষ্ট কমিউনিটিতে বিন্যাস করে বা আর্থিক ভর্তুকি দিয়ে জনগণকে নতুন বাড়িতে স্থানান্তর করে।
ছুং পাও ছাই বলেন, এটা একদম ইচ্ছামতো কাজ। চলে যেতে চাইলে যান, থাকতে চাইলে থাকেন। এখানে কমিউনিটি হাসপাতাল আছে, ভালো হাসপাতালও খুব কাছাকাছি, হেঁটে যাওয়া যায়। তাই আমি এখানে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পুনর্নির্মাণ কর্মগ্রুপ বাসিন্দা এবং ডিজাইনারের সঙ্গে যথেষ্ঠভাবে যোগাযোগ করার পর বাসিন্দার নিজের মতামত অনুযায়ী তাদের বাড়িঘরকে পুনর্নির্মাণ করেছে। আগের কাঠের দরজা তাপে প্রসারণ ও সংকোচন হয়, চার ঋতুতে বাতাস আসে। এখন নতুন ধরনের দরজা এসেছে। শীতে আর ঠান্ডা লাগে না। ঘরে টয়েলেট আছে, আর রাস্তার পাবলিক টয়লেটে যাওয়ার দরকার নেই। যে বাসিন্দা চলে গেছে, তার জায়গায় জনগণের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো তৈরি হয়েছে। লাইব্রেরিও আছে। এমন অবস্থা দেখলে মনে আনন্দ হয়। আপনি অনুভব করতে পারেন, উষ্ণ আলো পুরো ঘরকে আলোকিত করেছে। বাড়িঘর অনেক চওড়া, অনেক সুন্দর, জীবন আলোকিত হয়ে উঠেছে।