চীনা জনগণের বাসস্থান সমস্যা কিভাবে সমাধান হয়
আজকের চীনে মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আকারের এবং সবচেয়ে দ্রুত গতির শহরায়ন প্রক্রিয়া ঘটছে। মানুষের বাসস্থান ও জীবনের বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে। ঐতিহ্য ও আধুনিকায়নের মধ্যে কিভাবে ভারসাম্য রক্ষা করা যায়? আজ আমরা বেইজিংয়ের একজন সাধারণ বাসিন্দার গল্প থেকে চীনা জনগণের বাসস্থানের অবস্থার পরিবর্তন জানবো। তাঁর নাম ছুং পাও ছাই, বেইজিংয়ের তুংছেং ডিসট্রিক্টের ফু সিয়াং কমিউনিটির ইয়ু আর হু থুং-এর বাসিন্দা।
ছুং পাও ছাই সাংবাদিককে তাঁর গল্প বলেন। ২০০৮ সালে আমার ছেলে অসুস্থ হয়। এক দিনের মধ্যে ডাক্তার আমাকে তিন বার মারা যাবার বিজ্ঞপ্তি দেয়। আমার কিডনির ক্যান্সার তখন অনেক বেড়ে যায়।
আমার ছেলের কিডনির অবস্থা আরও খারাপ। ডাক্তারের চেষ্টায় বেঁচে রয়েছে। তবে আমার শারীরিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। শুরুর দিকে আমার ডায়াবেটিস মনে হত, আসলে না। আসলে ক্যান্সার! অস্ত্রোপচারের পর ওষুধ খাওয়ার কারণে প্রতিদিন ১৪ বার মূত্রত্যাগ করতে হয়। তবে হুথুং-এর পুরানো বাড়িঘরে টয়লেট নেই বলে ঘরে পাত্রে তা রাখতে হত। তারপর পাবলিক টয়েলেটে গিয়ে ফেলতে হত। কিভাবে অসুস্থ অবস্থায় বার বার পাবলিট টয়লেটে যাওয়া যায়! আপনি মনে করেন টয়লেটে যাওয়া ছোট ব্যাপার, আসলে তা মানুষের জীবনের বড় একটি ব্যাপার। কে জীবনের অবস্থাকে উন্নত করতে চায় না, আমিও চাই।
ছুং পাও ছাই হুথুংয়ে থাকেন, হুথুং বেইজিংয়ের ঐতিহ্যবাহী এক ধরনের আবাসিক এলাকা। ছোট ছোট রাস্তার দুই পাশে থাকে বৈশিষ্ট্যময় বর্গক্ষেত্র আকারের বাসস্থান। এতে বেশ কিছু পরিবার থাকতে পারে। তবে এমন বাড়িঘর অনেক পুরানো, ঘর ছোট। থাকার মানুষ বেশি, টয়লেটে যাওয়া, হিটিং ব্যবস্থা, রান্না, সবই সমস্যা হত। যদিও তা বেইজিংয়ের বৈশিষ্ট্যময় সংস্কৃতির প্রতীক; তবুও সেখানে বসবাস করা মানুষের জীবনের জন্য কষ্টকর ছিল।