চীনের উন্মুক্তকরণের দরজা আরও প্রশস্ত করছে সিএন এক্সপো
সিএন এক্সপো’র মহাসচিব ওয়েই ছাওহুই বলেন, চীন ও আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বহু বছর ধরে সিএন এক্সপো এবং শীর্ষ সম্মেলন আন্তঃযোগাযোগ, উত্পাদন ক্ষমতা, শুল্ক, স্বাস্থ্য ও অর্থসহ মোট ৪০টির বেশি ক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আয়োজন করছে। চীন-আসিয়ান তথ্য পোর্ট, চীন-আসিয়ান মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট অ্যালায়েন্স (সিএএমটিএ)-সহ কিছু সংখ্যক প্রকল্পের বাস্তবায়ন কার্যকর ও সহজতর করেছে। এছাড়া চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য অঞ্চলের প্রতিষ্ঠা, চীন ও আসিয়ান একে অপরের প্রথম বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হওয়া এবং আরসিইপি কার্যকর করাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সফলতা স্বচক্ষে দেখেছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী লি ফেই বলেন, চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ নাগাদ চীন ও আসিয়ানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিমুখী বিনিয়োগ ৩৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছিল। দু’পক্ষ পারস্পরিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ইতিবাচক সহযোগিতামূলক অংশীদারে পরিণত হয়েছে।
২০১৪ সালে সিএন এক্সপো বিশেষভাবে আমন্ত্রিত অংশীদার ব্যবস্থা স্থাপন করে। ২০১৭ সালে সিএন এক্সপোয় “এক অঞ্চল এক পথ” প্রদর্শনী অঞ্চল স্থাপিত হয়। ২০২২ সালে সিএন এক্সপোয় আসিয়ান এবং আরসিইপি বুটিক প্রদর্শনী অঞ্চল স্থাপন করা হয়। প্রথম দিকে মালামাল বাণিজ্য প্রধান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক রূপ “কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া” পর্যন্ত, বিগ ডাটা, নতুন জ্বালানী, ই-বাণিজ্য, পরিষেবা বাণিজ্য, শিল্প সংযুক্তি ইত্যাদি বহু বছরে সিএন এক্সপো চীন এবং আসিয়ানের মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার জন্য অব্যাহতভাবে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
সিএন এক্সপোর মাধ্যমে কিছু সংখ্যক অভ্যন্তরীণ বাজারে দাঁড়ানো, আসিয়ানমুখী, আরসিইপি’র অন্যান্য সদস্য দেশে সম্প্রসারিত প্রকল্প দ্রুততার সাথে কার্যকর হয়। চীন-আসিয়ান তথ্য পোর্ট যথাক্রমে লাওস, কম্বোডিয়া ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে বিদেশী ক্লাউড হিসাব কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। চীন-আসিয়ান আর্থিক সিটিতে প্রবেশ করা আর্থিক সংস্থার সংখ্যা ৩ শতাধিক। চীন-আসিয়ান আর্থ-বাণিজ্যিক কেন্দ্র ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারসহ ৯টি দেশের ৪০টি সংস্থায় প্রবেশ করেছে।