প্রতিটি বীজ নতুন আশা-আকাঙ্ক্ষার বাহক
সামনে আসছে চীনের শরৎকালীন খাদ্যশস্যের মৌসুম। শরৎকালীন খাদ্যশস্যের পরিমাণ সারা বছর উৎপাদিত খাদ্যশস্যের পরিমাণের চার-ভাগের তিন-ভাগ। শরৎকালীন উত্পাদন সারা বছরের খাদ্য নিশ্চিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শরৎকালীন ফসল অর্জন করতে গেলে অনুকূল পরিবেশের পাশাপাশি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়।
চলতি বছর শরৎকালীন খাদ্য চাষের জমির আয়তন হল ৮ কোটি ৬৭ লাখ হেক্টর, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আয়তন বাড়লে উৎপাদনের ভিত্তি সুসংহত হয়। গত জুলাই মাস থেকে দক্ষিণ চীনের বেশ কয়েকটি স্থানে ১৯৬১ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ ও দীর্ঘকালীন খরা হয়েছে। যার প্রভাব ব্যাপক।
শরৎকালীন খাদ্য উৎপাদনে নীতিগত ব্যবস্থা ও সকলের যৌথ প্রচেষ্টা আবশ্যক। বিভিন্ন স্থানে খরা প্রতিরোধ ও শরৎকালীন ফসল উত্পাদন নিশ্চিত করতে চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় কৃষি উত্পাদন ও দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ১ হাজার কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করেছে। কৃষি ও গ্রাম মন্ত্রণালয় নানা প্রদেশ ও অঞ্চলে কৃষিকাজ পরিচালনা করছে। খরায় দুর্গত অঞ্চলের কৃষকরা শস্য সেচ নিশ্চিতের জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়েছে। বর্তমানে খাদ্য উৎপাদনের সন্ধিক্ষণে রয়েছে চীন। বিভিন্ন অঞ্চল ও বিভাগ গ্রীষ্মকালীন খাদ্য উৎপাদন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দুর্যোগের কুপ্রভাব নিয়ন্ত্রণ করছে। গুরুতর দুর্গত অঞ্চলে উত্পাদন কমে যাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা, কম দুর্গত অঞ্চলে উত্পাদন স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং অন্যান্য অঞ্চলে উত্পাদন বাড়লে বছর-জুড়ে খাদ্য উত্পাদন স্থিতিশীল থাকবে বলে আশা করা যায়।
রুবি/এনাম