চীনের ইউন নান প্রদেশের আধুনিক ও সচ্ছল সীমান্ত গ্রামগুলো
তাছাড়া, মান ইয়া গ্রামে রাবার এবং গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল চাষ হয়। গ্রামটিতে ৩৬৪ হেক্টর রাবার চাষ হয় এবং কাঁঠাল, জাম্বুরা, কলা চাষের জমির আয়তন ৩৪ হেক্টর। ২০২১ সালে গ্রামের মোট আয় ছিল ১ কোটি ৮৮ লাখ ৩০ হাজার ইউয়ান। গ্রামকে সুন্দর করতে সরকার ১ কোটি ইউয়ান ব্যয় করে মঞ্চ, বাস্কেটবল কোর্ট নির্মাণ করে এবং দেয়ালে আঁকা হয় চিত্র। স্থানীয়রা জানিয়েছে, পুরাতন বাঁশের বাড়িঘরের বদলে এখন সবাই দুইতলা বাসায় বাস করেন।
এখন আমরা আরেকটি গ্রাম দেখতে যাব। গ্রামের নাম মান চাং। মান চাং গ্রামে বাস করে তাই জাতির মানুষেরা। তাই ভাষায় মান চাং মানে বাঁশের ভেতরের গ্রাম। কিংবদন্তি অনুযায়ী এখানে ছিল সোনালী রঙের বাঁশের বন। আর তাই জাতির পূর্ব পুরুষরা এখানে তাদের গ্রাম গড়ে তুলেন। এখন গ্রামে বাস করে ৪৭ পরিবারের ২২১জন।
এ গ্রামের মাঝখানে স্থাপিত হয়েছে বড় একটি মঞ্চ। সাধারণত গ্রামের নারীরা ও সাংস্কৃতিক দল এখানে অনুষ্ঠান করে। আগে গ্রামে কোন বিনোদনের জায়গা ছিল না। কৃষি কাজ ছাড়া তাদের কোন বিনোদন ছিল না। এখন তারা এখানে গান গাইতে ও নাচতে পারে। গ্রামের মূল রাস্তার দুপাশে প্রতিটি পরিবারে ফুল চাষ করা হয় এবং সারা গ্রামে সবুজায়নের হার ৯০ শতাংশের বেশি। প্রতিটি পরিবারের নিজস্ব ফুল ও ফল বাগান আছে। তাই তারা বাইরে না গিয়ে বাসায় সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারে এবং তাজা ফল খেতে পারে।
২০২১ সালে গ্রামের বাসিন্দাদের মাথাপিছু নিষ্পত্তি-যোগ্য আয় ছিল ১৭.২ হাজার ইউয়ান। মান চাং গ্রাম চীন ও মিয়ানমারের সীমান্তে অবস্থিত। সেখানকার সীমান্ত রেখার দৈর্ঘ্য ২.৫ কিলোমিটার। গ্রামটিকে চার ভাগে ভাগ করা হয় এবং প্রতিটি ভাগে সিপিসির সদস্য, ও নারীরা দায়িত্বশীল হিসেবে কাজ করেন। প্রতিবেশীদের মধ্যে পরস্পরকে সাহায্য করার নীতি অনুযায়ী, প্রবীণ, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সেবা প্রদান করা হয়। সীমান্ত রক্ষা করে পুরুষ, আর পরিবার রক্ষা করে নারী। এটিই এ গ্রামের বৈশিষ্ট্য।