তোমরা সবচেয়ে প্রিয় মানুষ: চীনা জনগণের সেনা
যদিও এসব ছবি এবং ভিডিওগুলো পেশাদার মানের নয়, তারপরও তা লাখ লাখ চীনা নেটিজেনকে মুগ্ধ করেছে। লোকজন বলে, যখন শুনেছি সেনারা বলছে যে, জনগণকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। তখন সবাই অনেক মুগ্ধ হয়েছে। সেনারা জনগণকে ভালোবাসে, জনগণও সেনাকে ভালোবাসে। সেনা ও জনগণ একই পরিবারের সদস্য।
বন্যা প্রতিরোধের পাশাপাশি জনগণের যে কোনো কাজে সাহায্য করতে প্রস্তুত চীনা সেনারা। বন্যা শেষ হয়ে চলে যাবার পর চিয়াং সি প্রদেশের কৃষকরা ধান চাষে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন। চিয়াং সি প্রদেশের ইয়ুং সিউ জেলায় কৃষকদের ধান চাষের ক্ষেত্রে সাহায্য লাগে। তখন বন্যা প্রতিরোধে চীনের সামরিক পুলিশ দল এ কথা জেনে দ্রুত তাদের সাহায্য দিতে যান। তাদের মনে- জনগণের কাজ ছোট হলেও তাদের কাছে বড় ব্যাপার। জনগণের স্বার্থ সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ।
বন্যার সময় চীনা সেনারা দৃঢ়তার সঙ্গে বন্যা প্রতিরোধ করেছে। ডাইকের নিচে, তারা জনগণের খাবার রক্ষা করেছে। বন্যা থাকলে তারা বন্যা প্রতিরোধ করতে পারে, ধান চাষেও তারা সাহায্য দিতে পারে, তারাই যেন সবকিছুই পারে। যেখানে প্রয়োজন- সেখানেই তারা আছে।
চীনা বাহিনী জনগণের বাহিনী বরং একটি শান্তিপ্রেমী বাহিনী। চীনা বাহিনী সবসময় সহযোগিতার নীতি মেনে চলে। ১৯৯০ সালের এপ্রিল মাস থেকে চীন প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী অভিযানে অংশ নেওয়া থেকে এই পর্যন্ত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মোট ৫০ লাখ পার্সন টাইমসের বেশি শান্তি রক্ষী সেনা পাঠিয়েছে। চীনকে ‘শান্তিরক্ষী অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ও শক্তি’ হিসেবে প্রশংসা করা হয়। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চীনের সেনাদলের আকার ছোট থেকে বড় হচ্ছে, সেনার ধরণ আরো সমৃদ্ধ হয়েছে। কর্তব্যের আওতা আরো বেড়েছে। চীনা শান্তিরক্ষী সেনারা সংঘর্ষ কবলিত এলাকার জনগণের জন্য শান্তি ও আশা বয়ে এনেছে। ঠিক যেমন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছিলেন- চীনা শান্তিরক্ষী বাহিনী বিশ্বের শান্তি রক্ষায় আরো বেশি চীনা শক্তি যোগাচ্ছে, বিশ্বের কাছে চীনা বাহিনীর সুষ্ঠু ভাবমূর্তি দেখা গেছে।
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যেমনটি বলেছিলেন, সামনে যাওয়ার পথে, চীনা বাহিনী সবসময় জনগণের সেবা করে; যে কোনো সময় জনগণের সেনা তারা।