তোমরা সবচেয়ে প্রিয় মানুষ: চীনা জনগণের সেনা
উহানে সেনাবাহিনীর অনেক চিকিত্সক মহামারি প্রতিরোধের ফ্রন্ট লাইনে দিন রাত কাজ করেছেন। প্রাণ রক্ষায় তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। স্বাস্থ্য রক্ষায় তারা কোনো ভয় পান নি। তারা মোটা প্রতিরোধক কাপড় পরেন, সারা দিন মাস্ক পরায় মুখের ত্বক ফেটে যায়, ঘামে ভিজে যায় কাপড়। তাদের মাস্ক না-পরা চেহারা দেখে নেটিজেনরা প্রশংসা করে বলে: তারাই হলেন সবচেয়ে সুন্দর মানুষ।
বন্যা প্রতিরোধে এবং বন্যা থেকে জনগণকে রক্ষায় চীনা সেনাকে সবসময় দেখা যায়।
গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাতে চীনের অনেক জায়গায় বন্যাকবলিত হয়। আর এমন অবস্থা বার বার দেখা যায়। চীনা সেনারা সবসময় এতে হাজির থাকেন। তারা ডাইক দৃঢ় করেন, বন্যায় আটকে থাকা জনগণকে উদ্ধার করেন। মাথার উপরে প্রচুর রোদ, পায়ের নিচে বন্যা—তবুও তারা কখনই দ্বিধা করেন না।
চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ‘টপিক’ হলো ‘এটাই হল বন্যা প্রতিরোধক সেনাদের বিছানা’। ছবি ও ভিডিও থেকে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরমে বন্যা প্রতিরোধের ফ্রন্ট লাইনে সেনারা পাথরে, বালির ব্যাগে, ডাইকে, সহযোদ্ধার কাঁধে অনেক ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়েন। সোজা মাটিতে শুয়ে থাকেন। যা দেখে অনেকেই মুগ্ধ হন।
এমন একটি গল্প আছে, চীনের চিয়াং সি প্রদেশের একজন ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধার বাসা বন্যার মধ্যে পড়েছে। তখন একজন সেনা তাকে পিঠে করে নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করছেন। কয়েক দিন পর বৃদ্ধা- বিশেষ করে তাদের থাকা অস্থায়ী ঘাঁটিতে গিয়ে সেই সেনাকে খুঁজে বের করে তাকে ধন্যবাদ জানাতে যান। ঘাঁটিতে পৌঁছার সেই মুহূর্তে তিনি প্রথম দেখায় সেই সেনাকে চিনতে পারেন। তার হাত ধরে রাখেন- আর ছাড়তে চান না। নেটিজেনরা বলে, সম্মানজনক সেনা, আন্তরিক দাদি, সেনা ও জনগণের এমন গভীর ভালোবাসা হলো সবচেয়ে উষ্ণ দৃশ্য।
মধ্য চীনের হ্য নান প্রদেশের সিন ইয়াং শহরে, বন্যা প্রতিরোধের কর্তব্য সম্পন্ন করার পর শহর ছাড়ার আগে সেনারা বিশেষ করে তাদের বসবাসের হোস্টেল পরিষ্কার করেন, সব কিছু ভালোভাবে সাজিয়ে রাখেন এবং ব্ল্যাকবোর্ডে একটি ‘ধন্যবাদ চিঠি’ লিখে রাখেন। তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। অন্যদিকে চীনের আনহুই প্রদেশ থেকে বন্যা প্রতিরোধের সেনারা চলে যাওয়ার সময় লোকজন ভীষণ বৃষ্টিতে তাদের গাড়ির পিছনে দৌড়ায়, সেনাদেরকে নিজের চাষ করা ফল, ডিম দিতে চায়।