হংকংয়ের ভবিষ্যত কেমন হতে পারে
হংকংয়ে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির মুখোমুখি বিভিন্ন নতুন সমস্যা ও নতুন অবস্থা মোকাবিলায় সি চিন পিং প্রস্তাব দিয়েছেন: সবসময় উন্নয়ন এই শীর্ষ কাজের ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। উন্নয়ন হলো চিরদিনের কাজ। এটি হংকংয়ের ভিত্তি, এটি সমস্যা সমাধানের সোনালি চাবি। তিনি হংকংকে মূল ভূভাগের কোলে ফিরে আসার ২০তম বার্ষিকীর উদযাপনী অনুষ্ঠানে একথা বলেছেন।
শিশুরা আনন্দের সঙ্গে বড় হতে চায়, যুবকরা মেধাবী হতে চায়, তরুণ মানুষ ভালো চাকরি পেতে চায়, বয়স্করা ভালো অবসর জীবন চায়। এসব কিছু উন্নয়নের মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব।
সি চিন পিং বলেন, হংকংয়ের উচিত নিশ্চিত সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নির্মাণ এবং উন্নয়নের ওপর বেশি নজর রাখা।
ফিরে তাকাবো ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই, সেদিন হংকংয়ে জাতীয় সংগীত বাজে, পঞ্চতারকা খচিত লাল পতাকা উত্তোলন হয়, হংকং আনুষ্ঠানিকভাবে চীনে ফিরে আসে। যা চীনা জাতির ইতিহাসের একটি বড় ব্যাপার। এর মাধ্যমে হংকং চীনা জাতির মহান পুনরুত্থানের মহান যাত্রায় যোগ দিতে পেরেছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেন, হংকং মূল ভূভাগের ওপর নির্ভর করতে পারে, আর বিশ্বমুখী হয়। এর উন্নয়নের অনেক উপযোগী শর্ত এবং বিশেষ প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুবিধা আছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের টেকসই দ্রুত উন্নয়ন হংকংয়ের উন্নয়নের জন্য বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার হংকংয়কে দেওয়া সাহায্য কখনই বন্ধ করে নি।
এশিয়ার আর্থিক সংকট ঠেকানো, আন্তর্জাতিক আর্থিক সংকটের প্রভাব কাটানো এবং সার্স মহামারি প্রতিরোধে, করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলা—ইত্যাদি নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে হংকং আবারও দেশ পরিচালনাব্যবস্থায় যোগ দিয়েছে, মূল ভূভাগের সঙ্গে যৌথ উন্নতি করতে পেরেছে।
আর দেশের রাষ্ট্রীয় কৌশল হংকংয়ের জন্য অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি করেছে।