বাংলা

মহামারির সময়ে চীনের গ্রামীণ পর্যটন শিল্পের হালচাল

CMGPublished: 2022-06-29 13:19:47
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

গ্রামের দায়িত্বশীল ব্যক্তি চাং ই মো বলেছেন, কোন একদিন মহামারি শেষ হবে এবং তার আগেই আমরা নিজকে আরও ভাল করে গড়ে তোলতে পেরেছি। এ সময়টি ধরে সি হ্য গ্রামে চলছে নানা প্রকল্প। পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ, আবর্জনা বাছাই বুথ নির্মাণ, পাবলিক টয়লেটের সংস্কার ইত্যাদি কাজ এ সময়ে শেষ করা হয়েছে। পাশাপাশি, নদীতে লাইট ইনস্টল করা হয়েছে। রাতের আলোতে গ্রামটিকে দেখতে আরও সুন্দর লাগবে।

সিন জেলা ছিল হুবেই, হ্যনান এবং আনহুই সোভিয়েত এলাকার রাজধানী এবং এ জেলার সু পাং গ্রাম মধ্য চীনে প্রথম গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত হয়। হান সিয়াও ছুন গ্রামের একটি পারিবারিক হোটেলের মালিক। যদিও গেল দু’বছরে পর্যটন শিল্পে কিছুটা কষ্ট দেখা দেয়, তবে ভবিষ্যতের প্রতি আশাবাদী হান সিয়াও ছুন। তিনি বলেছেন, যদিও মহামারির কারণে আমাদের ব্যবসা বন্ধ রয়েছে; তবে, এ সময়ে আমরা আমাদের হোটেলগুলোকে আপগ্রেড করেছি। বিপ্লব এলাকার মানুষেরও বিপ্লবী চেতনা আছে। একান্ন বছর বয়সি হান কুয়াং ইংও সম্প্রতি নিজের হোটেলকে আপগ্রেড করেছেন এবং আরেকজন হোটেল মালিক হান কুয়াং চি সাংবাদিককে জানিয়েছেন, তার হোটেল সাজানোর সবখরচ সরকার বহন করেছে।

পাশাপাশি, গ্রামে চালু হয়েছে হোটেল খাবার তৈরি ও সেবা প্রদানের প্রশিক্ষণ এবং পার্কিং লট, পুকুর সংস্কারসহ দশ-বারোটি প্রকল্পও চলছে।

হ্য নান সিন ইয়াং সরকার একদিকে গ্রামীণ পর্যটন শিল্পকে অর্থনৈতিক সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি নীতিগত সুবিধাও দেয়। সাংস্কৃতিক ও পর্যটন শিল্পকে সাদা নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে। হ্য নান প্রদেশ ও সিন ইয়াং শহরের নাগরিকদেরকে স্থানীয় গ্রামে ভ্রমণ করতে সুবিধা প্রদান করে সরকার।

তাবিয়ে পাহাড়ের উত্তর দিকে অবস্থিত চিন কাং ক্যানিয়ন হচ্ছে একটি চা চাষের এলাকা। বসন্তকাল ছিল চা বিক্রির সোনালী সময়, তবে মহামারির কারণে পর্যটকরা এখানে আসতে পারেন না। ছি পেং চা সমবায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ৩৬ বছর বয়সি চৌ চেং সিয়াং জানিয়েছেন, পাহাড়ের বাইরে চা বিক্রি করতে আমরা অনলাইনে লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। পাশাপাশি, পাহাড়ে চা বাগানের ছোট ভিডিও বানিয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চা চাষের প্রক্রিয়া এবং চা বাগানের সুন্দর দৃশ্য প্রদর্শন করেন, তাতে অনেক মানুষ স্থানীয় চা সম্পর্কে জানতে পেরেছে।

তাবিয়ে পাহাড়ের নম্বর ১ সড়ক পথও নির্মিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে এতদঞ্চলের সবদর্শনীয় স্থান এ সড়ক পথের মাধ্যমে যুক্ত হবে। লিন চুং গ্রামের তাবিয়ে পাহাড় ক্যাম্পিং পার্কের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্পও এগিয়ে যাচ্ছে। ক্যাম্পিং হোটেল, ক্যাম্পিং একাডেমি, চত্বর এবং উন্মুক্ত থিয়েটার নিয়ে ভবিষ্যতে ক্যাম্পিং পার্কটি ক্যাম্পিং গ্রামে পরিণত হবে।

মহামারি তাবিয়ে পাহাড়ের পর্যটন শিল্পের বিরতি বোতাম চেপে দিয়েছে, তবে, তা স্থানীয় পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের ভিত্তি তৈরির সময় দিয়েছে। বিশ্বাস করি, মহামারির পর এটি উচ্চ মানের এবং আরো সুন্দর ভ্রমণ গন্তব্যে পরিণত হবে।

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn