বাংলা

প্রেসিডেন্ট সি’র পদচিহ্ন অনুসরণ করে গড়ে ওঠা ফুচিয়ান প্রদেশ

CMGPublished: 2022-06-10 11:51:48
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

২০২১ সালের মার্চ মাসে ফুচিয়ান প্রদেশ পরিদর্শনের সময় সি চিন পিং আশা ব্যক্ত করে বলেন যে, ফুচিয়ান প্রদেশ সার্বিকভাবে উচ্চ গুণগতমানের উন্নয়নে নতুন সাফল্য অর্জন করবে। আসলে সমৃদ্ধভাবে উন্নত ডিজিটাল অর্থনীতি হলো একটি উদাহরণ।

২০২১ সালের নভেম্বর মাসে ফুচিয়ান প্রদেশ ডিজিটাল অর্থনীতি, সামুদ্রিক অর্থনীতি, সবুজ অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও পর্যটন খাত উন্নয়নের পরিকল্পনা উত্থাপন করেছে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে, ডিজিটাল অর্থনীতি প্রদেশটির অর্থনীতির মোট পরিমাণের প্রায় ৫০ শতাংশ। সামুদ্রিক জিডিপি দেশের শীর্ষস্থানে রয়েছে।

এ ছাড়া ফুচিয়ান প্রদেশের অবাধ বাণিজ্যের পরীক্ষামূলক এলাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে সক্রিয়ভাবে সেবা ও নতুন উন্নয়নের কাঠামোতে যোগ দিয়েছে। ২০২১ সালে ফু চিয়েন অবাধ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক এলাকা দেশে সবার আগে ২৫টি নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এর ফলে সেই বছর নতুন করে ২৮৯টি বৈদেশিক পুঁজির প্রতিষ্ঠান ফুচিয়ান প্রদেশে নিবন্ধন করা হয়। ২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক পুঁজি আকর্ষণ করেছে ফুচিয়েন প্রদেশ।

এদিকে ফুচিয়ান প্রদেশ সক্রিয়ভাবে তাইওয়ান প্রণালীর দু’তীরের সহযোগিতা জোরদার করেছে। ২০২১ সালে ফুচিয়ান প্রদেশ তাইওয়ানবাসীদের ফুচিয়ানে থাকা বা ব্যবসা করার ২২৫টি সুবিধাজনক নীতি চালু করেছে। সেই বছর ফুচিয়ান এবং তাইওয়ান প্রদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রথমবারের মত একশ’ বিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে যায়।

চীনের প্রথম রাষ্ট্রীয় প্রাকৃতিক সভ্যতার পরীক্ষামূলক এলাকা হিসেবে ফুচিয়ান প্রদেশের বনভূমির হার টানা ৪৩ বছর ধরে দেশের শীর্ষস্থানে আছে। পানি ও ভূমি ক্ষয়ের হার নেমে দাঁড়িয়েছে ৭.৫ শতাংশে। ২০২১ সালের মার্চ মাসে সি চিন পিং ফুচিয়ান পরিদর্শনের সময় বলেছিলেন, আরো চেষ্টা করতে হবে, যাতে সবুজ পাহাড় ও পরিচ্ছন্ন পানি ফুচিয়ানের অহংকারে পরিণত হয়। তিনি আরো বলেন, উচ্চ মানের জীবনের মান বাস্তবায়নের সঙ্গে আরো বেশি অর্জনের চেষ্টা করতে হবে।

২০১৭ সালের জুলাই মাসে, ফুচিয়ান প্রদেশের কু লাং ইয়ু ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায়’ অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অল্প সময় পর সি চিন পিং এক নির্দেশনায় বলেন, উত্তরাধিকার তালিকায় যোগ দেওয়ার আবেদন জানানোর উদ্দেশ্য হলো আরো ভালোভাবে এর ব্যবহার করা ও সংরক্ষণ করা। ২০২১ সালের জুলাই মাসে সি চিন পিং ৪৪তম বিশ্ব উত্তরাধিকার সম্মেলনে অভিনন্দবাণী পাঠান। তিনি বলেন, এসব মূল্যবান সম্পদ ভালোভাবে রক্ষা করতে হবে ও ব্যবহার করতে হবে। এটি আমাদের অভিন্ন দায়িত্ব।

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn