বৃত্তিমূলক শিক্ষা অনেক সম্ভাবনাময়
ইতিহাস থেকে জানা যায়, নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত সমাজবিদ রিভি অ্যালি এবং বৃটেনের শ্রম বিপ্লবী জর্জ আলভিন হগ ১৯৪২ সালে শান তান পেই লি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। প্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠা থেকে এ বিদ্যালয় ‘হাত ও মাথার যৌথ ব্যবহারে উদ্ভাবন ও বিশ্লেষণ’ চেতনায় চীনের ভবিষ্যত জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে দেশের জন্য অনেক প্রযুক্তিবিদ ও কর্মজীবী প্রদান করেছে।
প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং’র সঙ্গে সাক্ষাতের মুহূর্ত স্মরণ করে জেং সুয়ে চেং বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের উত্সাহব্যঞ্জক কথাবার্তায় আমি প্রযুক্তিগত কৌশলের মাধ্যমে দেশের জন্য অবদান রাখার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছি’।
পরিদর্শনের সময় সি চিন পিং সরঞ্জামের প্রক্রিয়াজাত, স্মার্ট হোম ডিজাইনসহ নানা কোর্স দেখেন এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও জীবন সম্পর্কে খোজখবর নেন।
সি চিন পিং তাদের জিজ্ঞেস করেন, ‘তিনবছর প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর তারা কোন পর্যায়ে উন্নীত হতে পারে? কারখানায় ইন্টারনশিপ করতে পারবে কি-না? এখানে লেখাপড়া শেষে চাকরিতে যোগ দেবে-না লেখাপড়া অব্যাহত রাখবে?
অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রাম থেকে আসে। লেখাপড়া করে পেশাদার হয়ে কর্মসংস্থান সহজ হয়। এ কথা জেনে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং খুব আনন্দিত হন। তিনি বলেন, “তাতে জানা যায়, পেশাদার প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমাজের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়। এটা হাত ও মাথার যৌথ ব্যবহারের চেতনার প্রতিফলন”।
শান তান পেই লি বিদ্যালয়ের সঙ্গে সি চিন পিং’র বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। যখন তিনি ফু চিয়ান প্রদেশে চাকরি করতেন, তখন তিনি এ স্কুলকে চাঁদা দেওয়ার জন্য নানা প্রতিষ্ঠানকে উত্সাহিত করেছিলেন। সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটিতে যোগ দেওয়ার পরও তিনি এস্কুলের উন্নয়নে মনোযোগী ছিলেন।
অতীতের কাজ সম্পর্কে সি চিন পিং বলেন, ‘আমি যেটা করেছি, সেটা খুব ক্ষুদ্র। তাতে এ স্কুলের প্রতি আমার গভীর আবেগ প্রকাশিত হয়েছে’।
স্কুলটি ত্যাগ করার সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্কুলের গান গেয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে বিদায় দিয়েছেন।