বাংলা

আকাশ ছুঁতে চাই ১৯

CMGPublished: 2023-05-25 18:43:13
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

এসময় ফাং লিইয়ুয়ান বলেন, চীন মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করতে প্রস্তুত, যাতে পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানো যায় এবং জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধন তৈরি হয়।

এদিকে, পরিদর্শন শেষে জাপারোভা এবং মিরজিওয়েভা বলেন, সিল্ক রোড মধ্য এশিয়া এবং চীনের সংস্কৃতিকে সংযুক্ত করেছে। উভয় পক্ষই জনগণের মধ্যে বিনিময় এবং পারস্পরিক শিক্ষাকে আরও গভীর করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তাঁরা।

প্রতিবেদন: রওজায়ে জাবিদা ঐশী

সম্পাদনা: শান্তা মারিয়া

অন্যরকম শিক্ষিকা

একজন স্কুল শিক্ষিকা খো ছেউক কিউ। তিনি হাসপাতালের চিকিৎসাধীন শিশুদের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাদের লেখাপড়ার আনন্দময় ভুবনে প্রবেশে সহায়তা করছেন। চলুন শোনা যাক এই মমতাময়ী নারীর গল্প।

এমন একটা স্কুল যেখানে খেলার মাঠে শিশুদের ছোটাছুটি নেই, নেই ছুটির ঘন্টার আওয়াজ। এই স্কুল হাসপাতালের শিশুদের জন্য। এখানে মায়ের মমতায় শিশুদের শিক্ষার ভার নিয়েছেন খো ছেউক কিউ নামের এক তরুণী শিক্ষিকা।

তিনি চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ের রেড ক্রস হাসপাতাল স্কুলের একজন শিক্ষিকা। তিনি দিনের শুরুতে প্রথমেই খোঁজ খবর নেন প্রতিটি শিক্ষার্থীর। তার শারীরিক অবস্থা কেমন, সে লেখাপড়া শেখার মতো ভালো বোধ করছে কিনা।

হাসপাতালে এমন অনেক শিশু আছে যারা দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা নিচ্ছে। বিভিন্ন কঠিন রোগে ভুগছে। অনেকে ক্যান্সার আক্রান্ত। সাধারণ স্কুলে এদের যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। এই শিশুরাও যেন কিছুটা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তাই এ ধরনের বিশেষ স্কুলের ব্যবস্থা। এসব স্কুলে শিক্ষিকাকেও হতে হয় বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তাকে শিশুদেরকে স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে শেখাতে হয় লেখাপড়া।

২০০৯ সালে খো যখন মাত্র মাস্টার্স ডিগ্রি পেয়েছেন তখন এই স্কুল বিষয়ে জানতে পারেন। তিনি বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে তারপর চীনাভাষার শিক্ষিকা হিসেবে এখানে যোগ দেন।

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে হাসপাতালের চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী রোগীদের জন্য সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

শিক্ষিকা খো তার দীর্ঘ কর্মজীবনে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অসংখ্যা শুভেচ্ছা বার্তা, গ্রিটিংস কার্ড পেয়েছেন। তিনি তাদের যে স্নেহ মমতা দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন তারই প্রতিদানে পেয়েছেন শ্রদ্ধা ও প্রীতি। শিশু কিশোর শিক্ষার্থীদের জন্য খোর শুভকামনা হলো তারা যেন সুস্থ হয়ে উঠে ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারে, তাদের স্বপ্নকে সফল করতে পারে।

প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া

সম্পাদনা: রহমান

আত্মপ্রত্যয়ী নারী ফু থিং

আইনজীবী পেশায় নারীরা আছেন বহুকাল আগে থেকেই। দিন যত যাচ্ছে এ পেশায় নারীদের আগ্রহ তত বাড়ছে। এই আইন পেশাতেই আছেন, সংগ্রামী নারী ফু থিং। ডান হাত হারিয়ে তিন বছর বয়স থেকেই কঠিন জীবন অতিবাহিত করছিলেন তিনি। কিন্তু আত্নপ্রত্যয়ী ফু থিং থেমে যান নি। হয়েছেন সেরা আইনজীবীদের একজন।

ফু থিং। একজন আইনজীবী। একটি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শুনাচ্ছেন নিজের সংগ্রামী জীবনের গল্প। আর মুগ্ধ হয়ে সেই গল্প শুনছেন শিক্ষার্থীরা।

মাত্র তিন বছর বয়সে গাড়ি দুর্ঘটনায় ডান হাত হারান ফু। এরপর শুরু হয় তার কঠিন সময়। প্রতিটা মুহূর্ত নিজের সাথে যুদ্ধ করতে থাকে ফু।

তের বছর বয়সে সিয়াংথানের একটি স্পোর্টস স্কুলে ভর্তি হোন তিনি। শেখেন সাঁতার । এরপর একজন খেলোয়াড় হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। ২০০৪ সালে প্যারালিম্পিক গেমসেও অংশগ্রহণ করেন ফু। বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে জিতে নেন ১৮টি স্বর্ণপদক।

首页上一页1234全文 4 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn