আকাশ ছুঁতে চাই ৯৯
কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চীনের উপর জাপানের আগ্রাসী আক্রমণে বিপর্যস্ত হয় তাদের জীবন। দুইবন্ধু তাদের ফটো স্টুডিও নিয়ে যান সাংহাইতে। সেখানেই সু এবং সাওয়ের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সু এর বাবা কিশোর সাওকে খুব পছন্দ করতেন। আশা করতেন হয়তো এই চমৎকার ছেলেটির সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হবে। কিন্তু যুদ্ধ ও যুদ্ধের পরবর্তি কঠিন জীবন তাদের দুজনকে দুদিকে নিয়ে যায়।
সাও একজন ফটোগ্রাফার হন। সু টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি নেন।
তাদের দুজনের মধ্যে তেমন কোন যোগাযোগ ছিল না গেল সত্তর বছরে।
২০১৯ সালে সুয়ের ছোটভাইয়ের সঙ্গে সাওয়ের দেখা হয়। তিনি তার কিশোরবেলার প্রিয় বান্ধবীর খবরাখবর নেন। এরপরে তারা দুজন দেখা দেখা করেন।
দুজনেরই জীবনসঙ্গী তখন মৃত। ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে। এবং তারা নিজের নিজের জীবনে ব্যস্ত। দুজনেই খুব নিঃসঙ্গ। আবার তাদের পুরনো বন্ধুত্ব জেগে ওঠে। তারা একসঙ্গে বেড়ান, ডিনার করেন, ফোনে আলাপ করেন। ।
২০২০ সালে তারা সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করার। তাদের কাছে মনে হয় জীবনের শেষদিনগুলো তারা একসঙ্গে কাটাতে পারেন।
বর্তমানে তারা প্রবীণ ব্যক্তিদের একটি নিবাসে দাম্পত্য জীবন যাপন করছেন। পরিবারের সদস্যরা ও প্রবীণ নিবাসের কর্মীরাও তাদের এই বিয়েকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা অন্য সদস্যদের সঙ্গে টিভি দেখেন, থাইচি করেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে বাইরে বেড়াতে যান।
৭০ বছর বিচ্ছেদের পর সু কুইচেন এবং সাও চেনওয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
সুপ্রিয় শ্রোতা , আজ আর কথা নয়, আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি আমরা। আমাদের অনুষ্ঠান আপনারা সবসময় শুনতে পাবেন শর্ট ওয়েভ ৯ হাজার ৪শ ৯০ এবং শর্ট ওয়েভ ১১ হাজার ৬শ ১০ কিলোহার্টজে। আরও শুনতে পাবেন সিআরআই বাংলার ওয়েবসাইটে এবং অবশ্যই আমাদের ফেসবুক পেজে। জেনে নিন আমাদের ইমেইল অ্যাডরেস, cmg.bangla@gmail.com আমাদের ফেসবুক পেজ facebook.com/CRIbangla এবং facebook.com/CMGbangla এবং আমাদের সাক্ষাৎকারগুলো ইউটিউবে দেখতে পাবেন। youtube.com/CMGbangla.
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। চাই চিয়েন।
সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
লেখা, গ্রন্থনা,উপস্থাপনা : শান্তা মারিয়া
অডিও সম্পাদনা: রওজায়ে জাবিদা ঐশী ও শান্তা মারিয়া