আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৫৩
নিজের কাজটা ভালোভাবে করতে হবে
কী থাকছে এবারের পর্বে
১. সাক্ষাৎকার: নিজের কাজটা ভালোভাবে করতে হবে-ঊর্মি রহমান
২. সারা গ্রামের আদর্শ যে নারী
৩. গান: থাং জি খাই
৪. বিশ্বের ৪৩ তম ক্ষমতাধর নারী শেখ হাসিনা
৫. বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন চায়নিজ নারী সাঁতারু
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা?
সাক্ষাৎকার
নিজের কাজটা ভালোভাবে করতে হবে: ঊর্মি রহমান
আমাদের অনুষ্ঠানে আজ স্টুডিওতে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশের নারী সাংবাদিকদের রোল মডেল, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন সাংবাদিক এবং লেখক ঊর্মি রহমান। অনুষ্ঠানে তাঁকে স্বাগত জানাই।
বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক ঊর্মি রহমান যিনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দীর্ঘদিন সাফল্যের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেছেন। তিনি সংবাদ পত্রিকায় তার সাংবাদিক জীবন শুরু করেন ১৯৭০ এর দশকের প্রথমার্ধে। সে সময় কিংবদন্তির সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্তর কাছ থেকে তিনি সাংবাদিকতার পাঠ নেন। বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের আরেক কিংবদন্তি তোয়াব খানের কাছ থেকেও সাংবাদিকতা শেখার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
ঊর্মি রহমানের এখন পর্যন্ত ৩০টি বই প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনী, শিশুসাহিত্য, প্রবন্ধ ইত্যাদি নানা স্বাদের লেখা। অনুবাদ সাহিত্যেও তার খ্যাতি রয়েছে। ইভলিন রীডের ‘নারী মুক্তির প্রশ্নে’ নামের গুরুত্বপূর্ণ বইটি যেমন অনুবাদ করেছেন তেমনি মৌলিক লেখা নিয়ে রয়েছে তার বই ‘পাশ্চাত্যে নারী আন্দোলন’। ‘আত্মকথনে সময় ও সৃজনকথা’ তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বই।
বাংলাদেশের বেশ কিছু মিডিয়া হাউজে নারী কর্মীর প্রতি যৌন হয়রানির যেসব অভিযোগ সম্প্রতি মোনা গেছে তাতে ক্ষুব্ধ বোধ করেছেন তিনি। মনে করেন এসব নির্মূল করতে কর্তৃপক্ষের দৃঢ় ভূমিকা রাখা জরুরি। পাশাপাশি তিনি মনে করেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ করতে হবে। অপরাধীর দোষ প্রমাণিত হলে তার কঠোর শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে।
নতুন যে নারীরা গণমাধ্যমে বর্তমানে আসছেন তাদের প্রতি তার পরামর্শ হলো, ‘নিজের কাজটাকে ভালোভাবে জানতে হবে।’। নিজের কর্মদক্ষতার বিকাশ ঘটাতে হবে। মানুষ হিসেবে নিজের অধিকারে যেমন সচেতন থাকতে হবে তেমনি কাজে ও মেধায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য পরিশ্রমও করতে হবে।
সারা গ্রামের জন্য আদর্শ যে নারী
সুপ্রিয় শ্রোতা একজন নারী বদলে দিয়েছেন পুরো গ্রামের ভাগ্য। চলুন শোনা যাক এই নারীর সাফল্যের গল্প।
লাই রোংচেন। চীনের কুয়াংসি চুয়াং স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলের ফিংগল জেলার ফুইয়াও গ্রামের এক নারী। তিনি এই গ্রামের কমিউনিস্ট পার্টির লিডার এবং রোল মডেল হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননাও পেয়েছেন।
৫৬ বছর বয়সী লাই রোংচেন অনেক বছর ধরে গ্রামের মানুষদের মধ্যে সম্প্রীতি রক্ষার কাজ করে চলেছেন। গ্রামের মানুষদের মধ্যে পারিবারিক কোন বিবাদ অথবা এথনিক গ্রুপের মধ্যে সমস্যা যাই হোক না কেন, সব কিছুতেই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন লাই। তার লক্ষ্য হলো গ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে পারষ্পরিক বোঝাপড়া ও শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধি করা। এই লক্ষ্যে একটি উইচ্যাট গ্রুপও খুলেছেন তিনি। বলেন,‘অন্যের সমস্যাকে নিজের সমস্যা মনে করে সেটা সমাধানে মন প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করাই আমার কর্তব্য’
গ্রামের আয় বৃদ্ধির বিভিন্ন প্রকল্পও শুরু করেছেন তিনি। গ্রামবাসীদের নিয়ে মিষ্টি চা পাতা এবং পারসিমনস ফলের খামার প্রকল্প গড়ে তুলেছেন লাই। এর ফলে পরিবার প্রতি বছরে গ্রামবাসীরা ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ইউয়ান আয় করছে। ২০১১ সাল থেকে তিনি গ্রামের পার্টি সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন।
গান