বাংলা

আকাশ ছুঁতে চাই ৪৭-China Radio International

criPublished: 2021-11-11 19:29:40
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

প্রকৌশল শিক্ষায় এগিয়ে আসুক নারী

১. রিপোর্ট: যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারী ইউএনওরা

২. সাক্ষাৎকার: প্রকৌশল শিক্ষায় এগিয়ে আসুক নারী –ড.শেলিনা বেগম, ডেপুটি ডিরেক্টর, বুয়েট

৩. সিয়ামেনের মৎস্যকন্যা

৪. গান: চাঁদ আমার হৃদয়ের প্রতীক: শিল্পী থেরেসা থাং

৫. নিউইয়ের্কে বিজয়ী বাংলাদেশের নারী

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন ভালো আছেন।

যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারী ইউএনওরা

বাংলাদেশের নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের এখনো অনেক প্রতিবন্ধকতা পার হয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের সময় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ নারী ইউএনও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, এমন তথ্য উঠে এসেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবির সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপে। বিস্তারিত রিপোর্টে

অসহযোগিতা ও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধাগ্রস্ত হন বাংলাদেশের প্রায় ৪৪ শতাংশ নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এমনকি যৌন হয়রানির শিকারও হয়েছেন ৫ দশমিক ৭ শতাংশ নারী ইউএনও। সম্প্রতি প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ টিআইবির করা এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে আসে। গবেষণায় বলা হয়, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের উপর চাপগুলো আসে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ,প্রভাবশালী এবং জেলা প্রশাসন থেকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী ইউএনও অবৈধ আর্থিক সুবিধা অনুমোদন সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। এ ধরনের চ্যালেঞ্জ প্রধানত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আসে। দুর্যোগ মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন ৯৮ শতাংশ নারী ইউএনও। বিশেষ পরিস্থিতিতে নারী ইউএনও এর জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই বলেও উঠে এসেছে গবেষণায়।

দুর্নীতিবিরোধী কাজের ক্ষেত্রে ‘প্রতিবন্ধকতা' ‘অনৈতিক কাজের জন্য চাপ', সরকারের বিভিন্ন বিভাগের দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থেকে অসহযোগিতাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ নারী ভুক্তভোগী কর্মকর্তাদের।

২০২০ সালের জুন মাসের তথ্যের ভিত্তিতে দেশের ৪৮৫টি উপজেলার মধ্যে ১৪৯টি উপজেলায় কর্মরত নারী ইউএনওদের উপর এই জরিপ চালানো হয়।

সাক্ষাৎকার:প্রকৌশল শিক্ষায় এগিয়ে আসুক নারী– ড.শেলিনা বেগম, ডেপুটি ডিরেক্টর, বুয়েট

বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন পেশায়। তবে রয়েছে প্রতিবন্ধকতাও। নারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আছে অনেক পথ। এসব নিয়ে আজ আমরা কথা বলবো বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর ড. শেলিনা বেগমের সঙ্গে । আমাদের অনুষ্ঠানে আপনাকে স্বাগত জানাই।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থী এখনও মাত্র ২৫ শতাংশ বলে জানালেন ড. শেলিনা বেগম। তিনি বলেন, ‘নব্বই দশকে তো হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন নারী প্রকৌশল শিক্ষার জন্য এখানে এসেছিলেন।’ নারীদের প্রকৌশল শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার মূল কারণ হলো সামাজিক নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী। এখনও আমাদের সমাজে মনে করা হয়, প্রকৌশল শিক্ষা নারীর জন্য নয়। এটা পুরুষের শিক্ষা। নারীরা ইঞ্জনিয়ার হবে এটা মেনে নিতে পারে না অনেকেই। অভিভাবকরা ভাবে, নারী যদি ইঞ্জিনিয়ার হয় তাহলে ফিল্ডে গিয়ে কাজ করতে পারবে না। নিরাপত্তার অভাবকেও এজন্য দায়ী মনে করেন শেলিনা।

তিনি নিজে যখন বুয়েটের প্রশাসনিক পদের জন্য আবেদন করেন তখন তাকে শুনতে হয় ‘এটা পুরুষের পদ। এই পদে আগে কোন নারী চাকরি করেননি।’ কিন্তু তিনি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই পদের যোগ্য বলে বিবেচিত হন। তিনি সফলতার সঙ্গে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক মেধাবী নারী ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও প্রকৌশল শিক্ষা করতে পারেন না অর্থের অভাবে। কারণ দরিদ্র পরিবারে ছেলে সন্তানকে অর্থ ব্যয় করে বুয়েটে পাঠানো হলেও, মেয়ের পিছনে এতটাকা ব্যয় করতে চায় না পরিবার।

শেলিনা মনে করেন, যদি নারীদের উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা থাকে তাহলে হয়তো আরও বেশি সংখ্যায় নারী প্রকৌশল শিক্ষায় এগিয়ে আসবে।

সিয়ামেনের মৎস্যকন্যা

123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn