বাংলা

আকাশ ছুঁতে চাই পর্ব ৪১-China Radio International

criPublished: 2021-09-30 20:52:06
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

নারী পুরুষের সম অধিকারের দেশ চীন

যা থাকছে এবারের পর্বে

১. নারী পুরুষের সম অধিকারের দেশ চীন

২. বিশ্বব্যাপী নারীদের চাই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক-বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

৩. সাক্ষাৎকার: জনসংযোগ পেশায়ও নারীরা সফল হচ্ছেন

৪. মাতৃভূমিতে ফিরলেন সফল নারী মেং ওয়ান চৌ

৫. মধ্য শরৎ উৎসবের গালা নাইটের গান

চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া।

১ অক্টোবর চীনের জাতীয় দিবস। ১৯৪৯ সালের ১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে জন্ম হয় পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার। মহান কমিউনিস্ট নেতা এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও জেতুং বেইজিংয়ের থিয়েন আনমেন চত্বরে নতুন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের যাত্রা শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

সমাজতান্ত্রিক চীনে রাষ্ট্রীয়ভাবে নারী পুরুষের সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ করা হয়। চেয়ারম্যান মাও জেতুং বলেন চীনের অর্ধেক আকাশ ধরে রেখেছে নারী। চীনে নারীর অবস্থান নিয়ে এখন রয়েছে একটি প্রতিবেদন।

প্রতিবেদন: নারী পুরুষের সমঅধিকারের দেশ চীন

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন। গত তিন দশকে চীনের উন্নতি বিস্ময়কর। আর এই উন্নয়নের পিছনে চীনের নারীদের অবদান পুরুষের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। অথচ ১৯৪৯ সালের আগে সামাজিক রীতিনীতি ও দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে নারীরা ছিল নানা রকম নির্যাতন ও বৈষম্যের শিকার। মহান সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর নবগঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনে নারীদের প্রতি সকল রকম বৈষম্য বিলোপ করা হয়। আইন ও রাষ্ট্রের চোখে তারা সকল ক্ষেত্রে পুরুষের সম অধিকার পান। রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন নীতিতে নারীর সম অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়।

পঞ্চাশের দশক থেকেই সকল পেশায় সকল সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে চীনের নারীরা সমঅধিকার নিয়ে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। সাম্প্রতিক সময়েও নারীর সমঅধিকার নিশ্চিতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির নীতি ও কার্যক্রম অবিচল রয়েছে।

চীনের নারী ও শিশুর অগ্রগতিতে, বিশ্বব্যাপী তাদের অধিকার রক্ষায় এবং সামাজিক বৈষম্য নিরসনে ২০১৮ সালে ১২তম ন্যাশনাল উইমেন’স কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এবং অল চায়না উইমেন’স ফেডারেশনের নেত্রীবৃন্দ একযোগে কাজ করার জন্য ঐকমত্যে পৌঁছান। নারীর ক্ষমতায়নে চীন সরকার এবং কমিউনিস্ট পার্টি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ১৩তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০১৬-২০২০ সালের মধ্যে নারীর ক্ষমতায়নে প্রোমোটিং উইমেনস অল রাউন্ড ডেভেলপমেন্ট নামে একটি আলাদা অধ্যায় প্রণয়ন করে। বিশ্বব্যপী নারীর অধিকার রক্ষায় ১৯৯৫ সালের বেইজিং ঘোষণার ২৫তম বার্ষিকীতে নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

চীনের রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে। চীনের অর্থনীতিতেও নারীর অবদান বিশাল। চীনের জিডিপির ৪১ শতাংশের বেশি নারীর অবদান। ক্ষুদ্র ও বৃহৎ উদ্যোক্তা নারীরা দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকা শক্তি। চীনে নারীর নিরাপত্তাও রয়েছে শতভাগ। দেশ গঠনে তাই নারীরা উত্তরোত্তর অবদান রেখে চলছেন।

সুপ্রিয় শ্রোতা,

জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে বিশ্বব্যাপী নারীদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গঠনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। সেখানে বিষয়টি নিয়ে ৩টি প্রস্তাব দেন শেখ হাসিনা । বিস্তারিত রয়েছে প্রতিবেদনে

প্রতিবেদন: বিশ্বব্যাপী নারীদের চাই শক্তিশালী নেটওয়ার্ক-বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বিশ্বের নারী নেতাদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন তিনি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনেতাদের সামনে তিনটি প্র্রস্তাব রাখেন, জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে যেগুলো সঠিকভাবে সমাধান করা প্রয়োজন।

শেখ হাসিনা প্রথম প্রস্তাবে বলেন, ‘ জেন্ডার সমতার জন্য উপদেষ্টা বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এখন এটিকে স্থানীয়করণ করা দরকার। প্রত্যেক পর্যায়ে জেন্ডার চ্যাম্পিয়ন দরকার যাতে নেতৃত্বের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যায়।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন ‘একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক নারীদের ক্ষমতায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এজন্য নারীদের নেতৃত্বে থাকা সংগঠনগুলোকে রাজনৈতিক ও আর্থিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করা প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে গুরত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে জাতিসংঘ।‘

তৃতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জেন্ডার সমতার জন্য সাধারণ কর্মসূচিকে আরও জোরদার করতে হবে, একইসঙ্গে আয়োজন করতে হবে সম্মেলনের, যেখানে অংশ নেবেন বিশ্বের অন্যান্য নেতারা।’ শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রায় ৭০ শতাংশ নারী। করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে রয়েছেন তারা। এছাড়া তৈরি পোশাক কর্মীদের ৮০ শতাংশের বেশি নারী। দেশের অগ্রগতিতে এসব নারীদের অবদানের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাৎকার: জনসংযোগ পেশায়ও নারীরা সফল হচ্ছেন

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn