আকাশ ছুঁতে চাই ৩৫-China Radio International
নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারণা ও দৃষ্টিভঙ্গী আশংকাজনক
১. জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ফারাহানা হাফিজের সাক্ষাৎকার
২. বিয়েতে আগ্রহ হারাচ্ছেন তরুণ প্রজন্ম
৩.গান
৪. হংকং লিজেন্ড
৫. ইউগুর
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠান থেকে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।
আমাদের অনুষ্ঠানে আমরা সব সময় কথা বলি নারীর সাফল্য, সমস্যা, সম্ভাবনা, সংকট নিয়ে। সমাজে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী নারীর অগ্রযাত্রাকে প্রভাবিত করে। নারীর প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী যেমন তাকে জীবনের পথে এগিয়ে দেয় তেমনি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী তার চলার পথে বাধা সৃষ্টি করে।
সমাজে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে এখন আমরা কথা বলছি জেন্ডার স্পেশালিস্ট এবং মানবাধিকার কর্মী ফারহানা হাফিজের সঙ্গে।
নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারণা ও দৃষ্টিভঙ্গী আশংকাজনক-ফারহানা হাফিজ, জেন্ডার বিশেষজ্ঞ
সাক্ষাৎকার:
ফারহানা হাফিজ বলেন, বাংলাদেশে নারীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী নির্ভর করে নারীর শ্রেণী, পেশা, অবস্থানের উপর। যেমন শহুরে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নারীকে সমাজ যেভাবে দেখে একজন গ্রামীণ নারীকে বা প্রান্তিক অবস্থানের নারীকে সেভাবে দেখে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তনও হয়েছে। শৈশবে তিনি দেখেছেন যে নারীর অনেক সেবাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ছিল। যেমন, স্বাস্থ্যসেবা। তখন নারী অনেক পেশায় প্রবেশ করতে পারতো না। সেদিক থেকে সমাজ অনেক এগিয়ে গেছে। নারীরা এখন সব পেশাতেই প্রবেশ করছে এবং সফল হচ্ছে।
কিন্তু বিপরীতক্রমে তিনি বর্তমানে দেখছেন নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। একধরনের বিদ্বেষমূলক মনোভাবও দেখা যাচ্ছে। তারমতে ‘পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীকে তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী দেখতে চায়। যেমন, সমাজ চায় নারী কখনও প্রশ্ন করবে না, নিজের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হবে না, তার প্রতি কৃত অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে না। তাহলে সেই নারী ‘ভালো নারী’ হিসেবে পরিচিত হবে। আর নারী যদি নিজের ইচ্ছা মতো জীবন যাপন করতে চায়, নিজের শরীর বিষয়ে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে চায় তাহলে সমাজ তাকে সহ্য করবে না, তার প্রতি সহিংস হয়ে উঠবে।’ বাংলাদেশে সম্প্রতি চিত্রনায়িকা ও মডেলদের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া এবং সে বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী বিষয়ে তিনি মনে করেন, কেউ যদি অপরাধী হয় তাহলে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আইন তার নিজের গতিতে চলবে। কিন্তু একই অপরাধ পুরুষ করলে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী ও নারী করলে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী একরকম থাকে না- এটা বৈষম্য। বিশেষ করে নারীর ক্ষেত্রে সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গীকে ব্যবহার করে গণমাধ্যম এক ধরনের মিডিয়া ট্রায়ালের ব্যবস্থা করে ফেলে। নারীর চরিত্র হনন এবং তার প্রতি বিদ্বেষমূলক যে প্রচারণা সেটা খুব ভয়ংকর। ‘নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক প্রচারণা ও দৃষ্টিভঙ্গী আশংকাজনক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।সেটা অবশ্যই নারীর উন্নয়নের গতিকে বাধাগ্রস্ত করে। এই বিদ্বেষমূলক ভূমিকা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে চাই সমাজের অগ্রসর চিন্তার বিকাশ।
বিয়েতে আগ্রহ হারাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম
সাম্প্রতিক কিছু সামাজিক গবেষণায় দেখা গেছে , চীনে তরুণ প্রজন্ম বিয়ের ব্যাপারে কিছুটা আগ্রহ হারাচ্ছে। তরুণীরা আত্মনির্ভরশীল হওয়ার প্রতি বেশি উৎসাহিত বোধ করছে। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে আসে, তারা বিয়েটাকে অনেক ক্ষেত্রে বোঝা মনে করছে এবং নির্ভার থাকতেই বেশি পছন্দ করছে।