আকাশ ছুঁতে চাই ৩৪-China Radio International
আকাশ ছুঁতে চাই ৩৪
বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে সাঁতার শেখাকে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন
কী থাকছে এবারের পর্বে
১. বঙ্গমাতা পুরস্কার
২.বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে সাঁতার শেখাকে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন-নিবেদিতা দাস
৩.আর্ট হাউজ ফিল্ম ফেস্টিভালে নারীদের জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা
৪.শিল্পী উ লান থুইয়ার কণ্ঠে গান
৫. ১৭৭ জনের মা
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ঢাকা স্টেশন থেকে প্রচারিত আকাশ ছুঁতে চাই অনুষ্ঠান থেকে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। কেমন আছেন আপনারা? আশাকরি সবাই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।
গেল ৮ আগস্ট ছিল বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী। তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ঘাতকরা পুরো পরিবারের সঙ্গে তাকেও হত্যা করে।
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো দেশের পাঁচ বিশিষ্ট নারীকে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক’ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত রোববার বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এ পদক দেয়া হয়। এ বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদন
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক প্রদান
নেপথ্যে থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সব আন্দোলন সংগ্রামের প্রেরণার অন্যতম উৎস তিনি। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা এবং একজন বিচক্ষণ নারী।
গত ৮ আগস্ট ছিল এই মহিয়সী নারী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী।
গেল রোববার প্রথমবারের মতো সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দেশের পাঁচ বিশিষ্ট নারীকে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি বিশিষ্ট এই ৫ নারীকে অভিনন্দন জানান।
এদিন, রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক-২০২১ প্রদান’ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত হয়ে তিনি এ অভিনন্দন জানান। এসময় প্রধানমন্ত্রী বাঙালি জাতির স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিটি সংগ্রামে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা পদক প্রাপ্ত এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মমতাজ বেগম, রাজনীতিতে মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য জয়া পতি মরণোত্তর এ পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া কৃষি ও পল্লি উন্নয়নে অবদানের জন্য কৃষি উদ্যোক্তা মোছা. নুরুন্নাহার বেগম এবং গবেষণা ক্ষেত্রে নেত্রকোনা জেলার লেখক ও গবেষক নাদিরা জাহান পেয়েছেন বঙ্গমাতা পদক।এখন থেকে প্রতিবছর ৮ অগাস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই পদক দেওয়া হবে, যা ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক হিসেবে গণ্য হবে বলে জানানো হয়।
‘বাংলাদেশের প্রতিটি স্কুলে সাঁতার শেখাকে বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন’- নিবেদিতা দাস