অলিম্পিকে বাংলাদেশী নারীদের অংশগ্রহণ-China Radio International
২৪ শে জুলাই থেকে জাপানের রাজধানী টোকিওতে বসেছে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ২৯তম আসর। ৯ আগস্ট পর্যন্ত জমজমাট পরিবেশে চলবে এই আয়োজন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২সালে মিউনিখ অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশের প্রথম অংশগ্রহণ থাকলেও প্রথম নারী অংশ গ্রহন করেন ১৯৯২ সালে। সেবার গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অংশ গ্রহণ করেন কাজী শাহানা পারভীন। অলিম্পিকে তিনিই প্রথম বাংলাদেশী নারী শ্যুটার ছিলেনমহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে অংশ গ্রহন করেন তিনি। এছাড়াও তিনি ১৯৯৪ এশিয়ান গেমস এবং ১৯৯৮ কমনওয়েলথ গেমসেও অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মহিলাদের লং জাম্প প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন নিলুফার ইয়াসমিন। সে বছর অলিম্পিকে তিনিই একমাত্র বাংলাদেশী নারী ক্রীড়াবিদ ছিলেন। ২০০০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে অ্যাথলিটে অংশ গ্রহন করেন ফৌজিয়া হুদা জুঁই।
অলিম্পিকে তিনি অংশ গ্রহন করেন ১০০ মিটার অ্যাথলিট প্রতিযোগিতায়। ১৯৯৮ সালে জুনিয়র মিটে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১০০ মিটার স্প্রিন্ট ও লং জাম্পে।
২০০০ সালের অলিম্পিকে তিন নারী ক্রীড়াবিদের আরেকজন প্রতিযোগী ছিলেন সাবরিনা সুলতানা। বাংলাদেশী স্পোর্টস শ্যুটার সাবরিনা অলিম্পিকে ৫০ মিটার রাইফেল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি ৩৮ তম হন এবং মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে ৪৬তম স্থানে অবস্থান করেন।
২০০০, ২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী সাঁতারু ডলি আক্তার । এশিয়ান গেমস এবং দক্ষিণ এশীয় গেমসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এই ক্রীড়াবিদ।
তার বড় সাফল্য দক্ষিণ এশীয় গেমসে রৌপ্য পদক জয়। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত বেইজিং গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ট্র্যাক এবং ফিল্ডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বিউটি নাজমুন নাহার।