বাংলা

‘বিজনেস টাইম’ পর্ব- ৩৯

CMGPublished: 2024-11-15 20:52:06
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চীন ও চীনের বাইরের দুনিয়ার ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি-উন্নয়নের হালচাল নিয়ে নিয়মিত সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান ‘বিজনেস টাইম’।

বিজনেস টাইম’ য়ের এই পর্বে থাকছে:

Ø বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফাইভ জি নেটওয়ার্ক চীনের দখলে

এক মুহুর্ত অপেক্ষার নেই অবকাশ। প্রযুক্তির কল্যাণে দ্রুত গতিতে ছুটছে হালের বিশ্ব। আধুনিকতার শীর্ষে থাকা বৈশ্বিক জনপদকে আরও গতিশীল করে তুলেছে যে কয়টি মাধ্যম, তারমধ্যে অন্যতম ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক।

আর এই ফাইভ-জি নেটওয়ার্কে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আধিপত্য চীনের। দেশটির ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, বর্তমান বিশ্বের বৃহত্তম ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চীনের দখলে। দেশটিতে রয়েছে চল্লিশ লাখের বেশি বেজ স্টেশন। যা দেশের মোট মোবাইল বেজ স্টেশনের ৩২ শতাংশের কিছু বেশি। জীবনমানকে গতিশীল করার পাশাপাশি অর্থনীতিতেও গতি এনেছে এই ফাইভ-জি বা পঞ্চম প্রজন্ম।

ব্যবসাখাত কিংবা বিনোদন.. সবখানেই ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে ফাইভ-জি। পঞ্চম-প্রজন্মের এই টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি। অবদান রেখেছে চীনের জাতীয় অর্থনীতির ৭৪টি প্রধান বিভাগ জুড়ে।

নীতি ও অর্থনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার উইয়ে লিউরং বলেন,

জাতীয় অর্থনীতির অন্যান্য বেশকিছু শিল্পে ব্যাবহার হচ্ছে ফাইভ-জি পরিষেবা। এর থেকে প্রাপ্ত আয় ১৪ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে ছাড়িয়েছে। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হল এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের ব্যপ্তি বাড়াতে আমাদের 'সিগন্যাল আপগ্রেডিং' প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া।

শিল্প খাতে, ফাইভ-জি পরিষেবার ব্যবহার ত্বরান্বিত করছে উতপাদন প্রক্রিয়াকে। রোবোটিক বিভিন্ন অস্ত্র নির্মাণকে করছে সুনিপুণ এবং কার্যকরী।

ব্যবসায়িক পদ্ধতি এবং ডিজিটালাইজেশনের প্রধান শ্যং ফেইফেই বলেন,

নতুন কারখানায় ডেটা ইন্টিগ্রেশনের গতি আগের তুলনায় অন্তত ১০ গুণ বেড়েছে। আমরা কয়েক মাসেই ১৭০টি পরিবর্তন করেছি, যা খুব অল্প সময়ের মধ্যে বড় সাফল্য।

ভিউশাইন মিটারিং লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট উয়ু চাংসিয়াং জানান.

আমরা প্রতিটি প্রোডাকশন লাইনে কর্মীদের সংখ্যা ৫০ থেকে কমিয়ে পাঁচজন করেছি, এবং উতপাদন দক্ষতা প্রতি শিফটে আড়াই হাজার ইউনিট থেকে ৩ হাজার ৬শ' ইউনিটে উন্নীত হয়েছে। আমরা আমাদের বর্তমান ফাইভ-জি স্মার্ট ফ্যাক্টরিতে মূল ঐতিহ্যগত পদ্ধতি থেকে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করছি।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শুধু উতপাদন ও দৈনন্দিন জীবনেই নয়.. ফাইভ-জি'র প্রভাব খনি, বন্দর এবং শক্তি সহ বিভিন্ন খাতে অনুভূত হচ্ছে।

ফাইভ-জি প্লাস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্টারনেট' প্রকল্পের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানান দেশটির শিল্প ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী চাও চিকুও। বৃহৎ আকারের ফাইভজির নানা অ্যাপ্লিকেশনের 'সেট-সেল' এর মান উন্নয়নের জন্য কাজ করবে তারা। যা বিভিন্ন শিল্পখাতে ফাইভজির ব্যাবহার বাড়াতে গভীরভাবে সহযোগিতা করব এবং নতুন অ্যাপ্লিকেশন প্রনয়নে খোঁজ চালিয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

12全文 2 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn