মেড ইন চায়না পর্ব-৬ ব্যাংক নোট
অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে চলুন শুনি ব্যাংক নোট তথা কাগুজে মুদ্রার কিছু অজানা তথ্য
জালনোট সনাক্তকরণের পদ্ধতি আবিষ্কার করে চীনারা। শুরুর দিকে চীনের কাগুজে নোটের মধ্যে থাকতো বিশেষ গোপনীয় কিছু চিহ্ন। সং রাজবংশের আমলে তৈরি চিয়াচি নামের নোটে থাকতো জটিল ধরনের কিছু চিত্রকর্ম। ওই সময়কার একটি নোটে ছিল একটি ব্যস্ত বাজারের ছবি। আর এমন জটিল নোট জাল করা ছিল না সহজ কাজ। আবার জালনোট যারা বানাতো, তাদের জন্য ছিল কঠোর শাস্তির ব্যবস্থাও।
এখন একেক দেশের কাগজের নোটে থাকে একেক রকম নকশা। এর মধ্যে কিছু নোটে থাকে রাষ্ট্রের জনক বা কিছু নোটে থাকে ওই দেশের প্রতিনিধিত্বকারী কোনো প্রাণীর ছবি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় পাখির ছবি। আর এখন ৪১ টি দেশের ব্যাংক নোটে ব্যবহার করা হয়েছে ঈগলের ছবি।
যত উন্নতমানের কাগজেই ছাপা হোক না কেন, ব্যাংকনোটেরও আছে মেয়াদ। আর নির্দিষ্ট মেয়াদে সেই নোট বাতিল করে ছাপতে হয় নতুন নোট। আর তাই প্রতিবছর সারা বিশ্বে নষ্ট করা হয় ১৭ হাজার কোটি নোট। যা আবার নতুন করে ছাপতেও হয়।
ইউরোপের প্রথম ব্যাংক নোট ছাপা হয় সুইডেনে। ১৬৬১ সালে ওই নোটটি ইসু করে স্টকহোম বাংকো। অন্যদিকে, ১৬৯৪ সালে ইউরোপের প্রথম স্থায়ী ব্যাংকনোট চালু করে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। তবে ওই নোট ইসু করার উদ্দেশ্য ছিল ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে তহবিল সংগ্রহ করা। আর আমেরিকায় প্রথম ব্যাংক নোট ছাপানো শুরু হয় ১৮৬২ সালে।
সুপ্রিয় শ্রোতা আজকের মেড ইন চায়না ছিল এ পর্যন্তই। আগামী পর্বে আবার আসবো চীনের সাড়া জাগানো আরেকটি আবিষ্কারের গল্প নিয়ে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: ফয়সল আবদুল্লাহ
অডিও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ
সার্বিক তত্ত্বাবধান: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী