বাংলা

‘বিজনেস টাইম’ পর্ব- ১৪

CMGPublished: 2024-05-23 19:00:35
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

চিয়ানসু আরও বলেন, অডির উচ্চমানের পণ্যজ্ঞান, গবেষণা, উন্নয়ন, প্রকৌশল ক্ষমতা এবং নেতৃত্বে থাকা এসএআইসি মোটরের উদ্ভাবনী ইভি প্রযুক্তি দ্বারা উৎপাদিত পণ্য এই প্রতিযোগিতার বাজারে সহজেই নিজেদের স্থান।

।। প্রতিবেদন: শাহানশাহ রাসেল

।। সম্পাদনা: ফয়সল আব্দুল্লাহ

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক-প্রভাব পড়বে না চীনে জানালেন বিশেষজ্ঞরা

চীনের কিছু পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত যে শুল্ক বসিয়েছে তা চীনের শিল্পখাতগুলোতে গুরুতর প্রভাব ফেলবে না। এমনটাই মনে করছেন চীনের বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্যই নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে অর্থনীতির কোনো সম্পর্কই নেই।

সম্প্রতি চীনের কিছু পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তালিকায় আছে বৈদ্যুতিক যানবাহন, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, সোলার সেল, খনিজ, সেমিকন্ডাক্টর, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, বন্দরের ক্রেন এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম।

এ ছাড়া এ বছর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সরকার আমদানিকৃত চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর শুল্কের পরিমাণ ২৫% থেকে বাড়িয়ে ১০০% করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সোলার সেলের ওপর শুল্ক ২৫% থেকে বাড়িয়ে ৫০% করবে। চীনে তৈরিকৃত বিশেষ ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে ৭.৫% থেকে ২৫% করবে দেশটি।

বাজার পর্যবেক্ষকরা এ বিষয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপকে মোকাবেলা করার জন্য চীনের কাছে বিকল্প অনেক উপায় রয়েছে।

বর্তমানে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির মার্কেট শেয়ার যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলক কম। তাই শুল্ক বৃদ্ধির তাৎক্ষণিক বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলে জানান বেইজিং-ভিত্তিক চাইনিজ একাডেমি অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের অধীনে থাকা একটি ইনস্টিটিউটের প্রধান তং ছাও।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল কারণ হিসেবে বেইজিং তাছেং ল অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা সুন লেই বলেন, কোনোরকম হস্তক্ষেপ না থাকলে, যুক্তরাষ্ট্রে চীনের বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির বাজার নিশ্চিতভাবেই বাড়ত। চীনের সাপ্লাই চেইনের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার ফলে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের খরচই বাড়বে।

সুন লেই আরো বলেন, এতে করে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে কারখানা নির্মাণ ও বিনিয়োগে চাপ বাড়বে চীনা কোম্পানিগুলোর ওপর। এতে কিন্তু চীনের কোম্পানিগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা আরও বাড়বে।

এ বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, যেহেতু যানবাহন সংক্রান্ত সাপ্লাই চেইনের পরিধিটা ব্যাপক, তাই গাড়ির অ্যাসেম্বলি লাইন অন্যত্র স্থানান্তর করার মানে পুরো সাপ্লাই চেইনে এর প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে এটি যুক্তরাষ্ট্রের যানবাহনের জন্য দরকারি ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম, ইঞ্জিন এবং ব্যাটারির খরচ বাড়াবে।

বেইজিংয়ের চায়না ইউনিভার্সিটি অফ মাইনিং অ্যান্ড টেকনোলজির জ্বালানি অর্থনীতিতে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তিং রিচিয়া বলেন, ‘বৈদ্যুতিক যানবাহনের অনেক ব্র্যান্ড যেমন: টেসলা, টয়েটো, বিএমডাব্লিউ এবং মারসিডিজ-বেনজকে চীনের সাপ্লাই চেইনের ওপর নির্ভর করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপকৃত এ শুল্কের ফলে এসব গাড়ি প্রস্তুতকারকদেরও খরচ বেড়ে যাবে। যার মূল্য দেবে ভোক্তারাই।’

চীনের ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং অটোমোবাইলগুলি এখনও যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্লাই চেইনের একটি ছোট অংশ জুড়ে আছে বলেও জানান তিং রিচিয়া।

তিংয়ের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে ফুচিয়ান প্রদেশের সিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়না ইনস্টিটিউট ফর স্টাডিজ ইন এনার্জি পলিসির প্রধান লিন বোছিয়াং বলেন, চীনের সোলার পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্করোপের মূল লক্ষ্য চীনের শিল্প উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করা। তবে চীনের ফোটোভোলটাইক সেলগুলো প্রযুক্তিগতভাবে দারুণ এগিয়ে। এমনকি এগুলোর দাম কম, বিক্রয় পরবর্তী সেবাও দুর্দান্ত।

লিন স্পষ্টভাবে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের তেমন প্রভাব চীনের সোলার প্যানেল প্রযুক্তিতে পড়বে না, কারণ চীন যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে এ পণ্য রপ্তানি করছে না।

চীনের ফটোভোলটাইক ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যানুসারে, চীনের সোলার মডিউলের রপ্তানির বাজারে প্রুথম দশটি দেশের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র নেই।

চীনা বিশেষজ্ঞরা আরও জানালেন, যুক্তরাষ্ট্র বছর গড়ে প্রায় ৪০ গিগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন করছে যা বিশ্ববাজারের ১০ শতাংশেরও কম।

অন্যদিকে চীনের সোলার পণ্যগুলো এখনও দামের দিক দিয়ে শক্তিশালী অবস্থানে আছে, এমনকি বিশ্বের অন্যান্য বাজারে এ সংক্রান্ত প্রযুক্তিগুলোর চাহিদা এখনও তুঙ্গে।

সুতরাং এটি পরিষ্কার যে, চীনের পরিবেশবান্ধব পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র মূলত নিজের নাকই কেটেছে, এতে চীনের অর্থনীতির যাত্রা ভঙ্গ হবে না।

।। প্রতিবেদন: ফয়সল আব্দুল্লাহ

।। সম্পাদনা: শাহানশাহ রাসেল

একান্ত সাক্ষাৎকার

চীনের মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল ও ভিসা মুক্ত সুবিধা আওতায় আসতে বাংলাদেশের কি করণীয়, এই বিষয়ে মতামত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও

গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন অন্বেষণার চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর।

প্রযোজনা ও উপস্থাপনা: শাহানশাহ রাসেল

অডিও সম্পাদনা: নাজমুল হক রাইয়ান

সার্বিক তত্ত্বাবধান: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী

首页上一页12 2

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn