‘বিজনেস টাইম’-১
দক্ষিণ চীনের পার্ল রিভার ডেল্টা ক্লাস্টার এবং দেশের পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলের শহরগুলো বিশেষ করে ইয়াংজি বদ্বীপ অঞ্চলের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে এভাবেই।
।। প্রতিবেদন: শাহানশাহ রাসেল
ভিন দেশে চীন:
বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে পদ্মা রেল সেতু প্রকল্প। এর কাজ সম্পন্ন হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। এটি শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে মূর্ত প্রতীকও।
এই প্রকল্প ইতোমধ্যেই স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ফলে জনগণের আয়ের উৎস বেড়েছে। বেড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যও।
সিআরইসির দেওয়া তথ্যমতে, ইতোমধ্যেই এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকার কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলছে। বাকি অংশের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রকল্পটিতে চীনা নাগরিকদের পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিভিন্ন পদে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক কাজ করছেন। বর্তমানে অনেক অংশের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় কমে এসেছে কর্মী সংখ্যাও।
পদ্মা রেলসেতু প্রকল্পের যেসব বিভাগে কাজ করছে তার মধ্যে অন্যতম হলো- নির্মাণ, ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রশাসন এবং লজিস্টিক। তাদের অবদান প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এই চার বিভাগের আওতায় প্রকৌশলী, স্থপতি, প্রশাসন, দক্ষ শ্রমিক, সহকারী কর্মী, মেডিকেল কর্মী, নিরাপত্তা কর্মী, পরিবহন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন পদে কাজ করছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা।
তারা সিআরইসির সঙ্গে কাজ করতে পেরে একদিকে যেমন খুশি তেমনিভাবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে চীনের নির্মিত অন্য যেকোনও প্রকল্পে কাজ করতেও আগ্রহী।
তেমনি একজন বাংলাদেশি মোহাম্মদ আল কাফী। সিআরইসির ডিভিশন ২ তে ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করছেন।
চলতি বছর এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশাবাদী চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন।
এদিকে বাংলাদেশি কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সিআরইসি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও পরিচালনা করছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকরা আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতাও অর্জন করছে।
ফলে প্রকল্প শেষে হয়তো সিআরইসির সকলে নিজ দেশে ফিরে যাবে কিন্তু এদেশের নাগরিকদের মাঝে আজীবন রয়ে যাবে সিআরইসির দেওয়া প্রশিক্ষণ এবং ভালোবাসা।
।। প্রতিবেদন: শুভ আনোয়ার
।। সম্পাদনা: ফয়সল আবদুল্লাহ
প্রযোজনা ও উপস্থাপনা- শাহানশাহ রাসেল
অডিও সম্পাদনা- নাজমুল হক রাইয়ান
স্ক্রিপ্ট সম্পাদনা- ফয়সল আবদুল্লাহ
সার্বিক তত্ত্বাবধান- ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী