‘চলতি বাণিজ্য’
চলতি বাণিজ্যের প্রথম পর্বে যা থাকছে:
১. বিশ্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতির কেন্দ্র হয়ে থাকবে চীন
২. ২০২৩ সালে চীনে পুরনো গাড়ি বেচাকেনা ২০ মিলিয়ন ছাড়াবে
৩. মুলধন সংগ্রহ করতে ‘পান্ডা বন্ড’ ছেড়েছে জার্মানির ডয়েচ ব্যাংক
৪. চীনের বাজার ধরতে নতুন প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দিলো কোকাকোলা
বিশ্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতির কেন্দ্র হয়ে থাকবে চীন
সাজিদ রাজু, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: চলতি বছর পুরোটা সময় জুড়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক অগ্রগতির গুরুত্বপূণ কেন্দ্র হয়ে থাকবে চীন। চীনের বিপুল পণ্য উৎপাদন ক্ষমতা প্রভাবিত করতে বিশ্বের প্রতিটি খাতকে। সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন চায়নার প্রেসিডেন্ট মাইকেল হার্ট। তিনি আরো বলেন, কেবল ব্যবসা-বাণিজ্য নয় বরং চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কও প্রভাবিত হবে চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে। এদিকে, ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস পলিসি ফর মেয়র অব লন্ডনের সাবেক পরিচালক জন রস এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ২০২৩ সালে চীনের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের চালিকা শক্তি হবে অভ্যন্তরীণ খাতের প্রবৃদ্ধি।
পণ্য উৎপাদনের এই শব্দই বলে দেয়, আপনি শুনছেন বিশাল এক কারখানায়। বিশ্বের অন্য কোথাও নয়, এই কারখানার অবস্থান বিশাল আয়তনের চীনে। এসব কারখানা আর এর বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বিপুল সংখ্যক। এই দুটি উপাদানই বিশ্ব অর্থনীতির প্রাণ। বিশেষ করে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের পণ্য উৎপাদনকারী কলকারখানা এবং চীনের বাজার এখন বিশ্ব অর্থনীতির চালিকা শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কের নানা দিন নিয়ে গভীর দৃষ্টি রাখেন যারা তাদেরই একজন অ্যামেরিকান চেম্বার ইন চায়না’র প্রেসিডেন্ট মাইকেল হার্ট। এক স্বাক্ষাৎকারে সারা বিশ্বের জন্যই চীনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, কল কারখানা এবং চীনের ভোক্তা বাজার গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে চীনের অর্থনীতি।
মাইকেল হার্ট, প্রেসিডেন্ট, অ্যামেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন চায়না
“চীন আবারো উন্মুক্ত হয়েছে, এটা একটা ভালো খবর। ২০২২ সালে এটাই আমাদের অন্যতম প্রধান সুপারিশ ছিলো। মানুষ চীন সফর করতে চায়। কিন্তু আমরা কতোটা সহজে এখানে আসতে পারি? আমরা কোয়ারেন্টিন কতোটা কমাতে পারি? আমরা ক্রমাগত শুনছি, চীন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এতো বিপুল পরিসরে উৎপাদন করার মতো আর একটাও দেশ নেই এই বিশ্বে। চীনের মতো এতো উন্নত পণ্য উৎপাদন আর কেউ পারে না, এতো সরবরাহ আর কেউ করতে পারে না। কাজেই সব খাতেই উৎপাদনের জন্য চীন খুব গুরুত্বপূর্ণ বাজার হয়ে থাকবে এবং আমরাও বিভিন্ন খাতের এসব কোম্পানির সঙ্গে বছরজুড়ে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকবো।“
টানা কয়েক বছর কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আরোপ করা বিধিনিষেধ শিথিল করায় এখন খুলতে শুরু করেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা। আরো উন্মুক্ত হচ্ছে বাজার। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে পণ্যের উৎপাদন।