চড়া বাংলাদেশের ফলের বাজার
মগবাজার খুচরা ফল ব্যবসায়ী লোকমান বললেন, “ বাজারের এখন বেশিরভাগ ফলই বিদেশি। এদিকে যেভাবে সব কিছুর দাম বাড়তেছে এখন ফল কেনাও কমায় দিছে অনেকে। এখন আর আগের মত বিক্রি নাই”।
এদিকে ফল আমদানিকারকরা বলছেন, বিদেশি ফলকে বিলাসপণ্য হিসেবে দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং কনটেইনারভাড়া বৃদ্ধি। এসব কারণে ফল আমদানি কমছে। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ফলের পাইকারি ও খুচরা বাজারে।
ফলের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ফল আমদানিকারক রাকিব হোসেন জানান, জ্বালানি তেলের দাম ও ডলারের দাম বেশি থাকায় আমদানিতে খরচ বেড়েছে। সবমিলিয়ে যার প্রভাব পড়ছে ফলের খুচরা দামে।
সরকার ডলার বাঁচাতে ফুল, ফল, প্রসাধনী ও আসবাব পণ্য আমদানিতে ২০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আরোপ করেছিল গত মে মাসে। বিদেশি ফলের বাজার তখন থেকেই চড়া বলছেন ঢাকা মহানগর ফল আমদানি-রপ্তানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।
সিরাজুল ইসলাম, সভাপতি, ঢাকা মহানগর ফল আমদানি-রপ্তানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি
“আমাদের আমদানি ব্যয় আগের থেকে অনেক বেড়েছে। বিলাসী পন্য হিসেবে ফুলের পাশাপাশি ফলকেও ধরা হয়েছে । আসলে ফল তো বিলাসী পন্য না। এটি রোগীর পথ্য । এই পন্যে শুল্ক না থাকলে, জাহাজ ভাড়া বেশি না থাকলে আমাদের আমদানি ব্যয় কম লাগতো। তখন দেশের বাজারে কম দামে ফল সরবরাহ করা যেত। সাধারণ মানবুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেও আসতো ফল”।
সম্পাদনা – সাজিদ রাজু