চড়া বাংলাদেশের ফলের বাজার
কি বলছেন ক্রেতারা
মূল্যবৃদ্ধির কারণে এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত অনেকেই ফল খাওয়া ছেড়েছে, আর কিনলেও কমিয়েছে পরিমাণ।
তারা বলছে, বিদেশি ফলগুলো এখন আর নাগালের মধ্যে নেই। তাই সামর্থ্যের মধ্যে দেশি যেসব ফল রয়েছে, সেগুলোই খাচ্ছে। কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
বাংলামোটর এলাকার বাসিন্দা বাংলামোটর এলাকার বাসিন্দা সানজিদা আক্তার একটি বেসরকারি কোম্পানীতে কাজ করেন। তিনি জানান, গত কয়েক মাস ধরে তিনি ফল কিনছেন না।
“আগে সব সময় চেষ্টা করতাম অন্য খাবারের পাশপাশি ফলটা খেতে। দেশীয় ফল বাজারে থাকলে দেশীয় ফলই কেনা হত। কিন্তু এখন যেহারে ফলের দাম বাড়ছে কেনা সামর্থের বাইরে চলে গেছে। তাই কেনা বাদ দিয়ে দিয়েছি গেল কয়েক মাস ধরে”।
ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য নিয়মিত ফল কিনতেন ইস্কাটন এলাকার বাসিন্দা আকবর আলী। কিন্তু ফলের দাম ক্রমাগত বাড়ায় আগের মত কিনছেন না বলে জানান তিনি।
একই কথা বলে মৌচাক শাহীনবাগ এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আফসার। তিনি জানান, “বাসার ছোটরা ফল খেতে পছন্দ করে। কিন্তু এখন এতো দাম বাড়ছে আগের মত কিনি না”।
কি বলছেন ব্যবসায়ী ও আমদানীকারকরা
ফল ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন বাজারে যেসব ফল আছে, সেগুলোর ৮০ শতাংশের বেশি বিদেশি। দাম বেশি থাকায় ক্রেতারা ফল কেনা কমিয়ে দিয়েছে, যার কারণে বিক্রিও অর্ধেক কমে গেছে ।
তেজগাঁও এলাকার ফলভাণ্ডারে ব্যবসায়ী আরিফ গাজী বলেন, ‘স্বাভাবিকের চেয়ে ফলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। আগে যে ফলের কার্টন দুই হাজার ২০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায় কেনা যেত, সেটি এখন কিনতে হচ্ছে তিন হাজার থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকায়।