বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাত পর্যটন শিল্প
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনটিতে মূলত দেশের পর্যটন খাতের আর্থিক পরিমাপ, পর্যটন সম্পর্কিত পণ্য ও পরিষেবার সরবরাহ এবং এর ব্যবহার সংক্রান্ত উপাত্ত একীভূত হয়েছে।
পর্্যটন খাতে বিনিয়োগের বর্তম্যান পরিস্থিতি
দিন দিন বাংলাদেশে পর্্যটনে আগ্রহী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে দারুণ সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে খাতটি। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্্যটন শিল্পের সর্বোচ্চ বিকাশে স্বল্প,মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন?
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পর্্যটকের সংখ্যা ১০০ কোটিরও বেশি। ধারণা করা হচ্ছে ২০২৫ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬০ কোটি টাকা। পর্্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বিপুল সংখ্যক পর্্যটকের প্রায় ৭৩ শতাংশ ভ্রমণ করবেন এশিয়ার দেশগুলোয়। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বহাল রাখতে পর্যটন খাতকে গুরুত্ব দেওয়া একান্ত প্রয়োজন মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। ২০২৫ সাল নাগাদ পর্যটকের সংখ্যা ১৬০ কোটি। এর আগে কোভিড মহামারির সময়ে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যায়। তবে ধীরে ধীরে এই সংখ্যা আবারও বাড়ছে।
বাংলাদেশের পর্যটন খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতে আছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। এর ভেতর সরাসরি জড়িত আছেন ১৫ লাখ আর প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আছে প্রায় ২৩ লাখ। এক হিসাবে দেখা গেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করছে। এই সংখ্যাটি সন্তোষজনক হলেও এর মাত্র ২ শতাংশ বিদেশি।
পর্্যটন খাতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
পর্যটন মাস্টারপ্ল্যান তথা মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইপিই গ্লোবাল লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড। ট্যুরিজম মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের পর্যটন নতুন যুগে প্রবেশ করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশের পর্যটন শিল্পের চিত্র বদলে যাবে। বাড়বে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান।