বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাত পর্যটন শিল্প
আফরিন মিম, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: “পর্যটনে নতুন ভাবনা” প্রতিপাদ্যে বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হলো বিশ্ব পর্্যটন দিবস। পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও পালন করা হয় এই দিনটি।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অতুলনীয় এই বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাময় খাত পর্্যটন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের পর্যটন নীতিমালার আলোকে পর্যটনকে শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় এই খাতের সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল হয়েছে।
পর্যটকদের অভিমত, যথাযথ বিকাশের মাধ্যমে শুধু পর্যটনশিল্প থেকেই বছরে হাজার কোটি টাকা আয় করতে পারে বাংলাদেশ। অফুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত বাংলাদেশে পর্যটনশিল্প খুবই সম্ভাবনাময়। পৃথিবীর যে-কোনো পর্যটককে আকৃষ্ট করার মতো সকল উপাদান বাংলাদেশে আছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে মোট ১৬ লাখ ৪০ হাজার পর্যটক আসে। এর মধ্যে ৮০ দশমিক ২৮ শতাংশ অনাবাসী বাংলাদেশি। বাকি ২ লাখ ৯১ হাজার জন বিদেশি পর্যটক।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা অভাবনীয় বৃদ্ধি পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রায় ১ দশমিক ৫ কোটির উপরে অভ্যন্তরীণ পর্যটক সারা দেশে ভ্রমণ করে এবং ৪০ লাখের বেশি মানুষ এই শিল্পে কর্মরত রয়েছে।
জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তথ্যের উপর তৈরি করা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিডিপিতে দেশের পর্যটন খাতের অবদান ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ । স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৭৬ হাজার ৬৯০ কোটি টাকার বেশি।
পর্যটন নিয়ে বিবিএস কর্তৃক প্রথমবারের মতো প্রকাশিত প্রতিবেদন ট্যুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট-২০২০ অনুসারে মোট কর্মসংস্থানের ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশের সুযোগ তৈরি করছে এই খাত।