অস্থিতিশীল বাংলাদেশের স্বর্ণের বাজার
তবে সাধারণত সোনার সরবরাহ বাড়ে মূল্যবৃদ্ধির সময়টাতেই। দাম বাড়লে অনেকেই নিজের হাতে থাকা সোনা বেশি মুনাফার আশায় বিক্রি করে দেন, অনেকে আবার জীবনযাত্রার বাড়তি ব্যয় মেটাতেও সোনা বিক্রি করেন।
কি বলছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি?
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়া-কমার বিষয়ে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সাথে কথা হয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি –বাজুস’র স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল হক ভূঁইয়া লিটনের সঙ্গে। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করেই দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়।
“আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কমায় কমানো হয়েছে দেশের বাজারেও। আসলে দাম নির্ধারিত হয় আন্তর্জাতিক বাজারের দামের উপর। গত পরশু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম ডাউন হয়েছে, তাই আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি দাম কমানোর। আর সেটাই কার্যকর করা হয়”
বিগত চার মাসের কেমন ছিল স্বর্ণের দাম?
গেল ২২ আগস্ট সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ২২৫ টাকা বাড়িয়ে ৮৩ হাজার ২৮১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৭৯ হাজার ৪৯০ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৯২ টাকা বাড়িয়ে ৬৮ হাজার ১১৮ টাকা করা হয়। এদিকে, সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৫৬ হাজার ২২০ টাকা।
অবশ্য এ দুই দফা দাম বাড়ানোর আগে ১৮ আগস্ট সবচেয়ে ভালোমানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ২৭৫ টাকা কমিয়ে ৮২ হাজার ৫৬ টাকা করা হয়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ১৫৮ টাকা কমিয়ে ৭৮ হাজার ৩২৪ টাকা ও ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৮৬৭ টাকা কমিয়েকরা হয় ৬৭ হাজার ১২৬ টাকা। অন্যদিকে সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৬৯২ টাকা কমিয়ে ৫৫ হাজার ২৮৭ টাকা করা হয়।