অস্থিতিশীল বাংলাদেশের স্বর্ণের বাজার
আফরিন মিম, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: রেকর্ড দাম ওঠার পর বাংলাদেশের বাজারে কিছুটা কমানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণ বা পাকা স্বর্ণের দাম কমানোর প্রেক্ষিতে এ দাম কমানো হয়েছে। মান অনুযায়ী প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম কমানো হয়েছে ৯৩৩ টাকা থেকে এক হাজার ২৮৩ টাকা পর্যন্ত। তবে রুপার দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
বাংলাদেশে স্বর্ণ ও জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন এ দাম কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার থেকেই।
গেল ১১ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে ভালোমানের স্বর্ণের দাম ভরিতে এক হাজার ২৮৩ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ টাকা। দেশের বাজারে এর আগে কখনো স্বর্ণের দাম এত হয়নি।
বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি গেল ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বৈঠক করে এ দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। পরে মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
স্বর্ণের দাম কেন বাড়ে-কমে
অন্য যেকোন পণ্যের চাহিদা ও যোগানের মতোই স্বর্ণের দামও চাহিদা-যোগানের উপর নির্ভর করে। তবে সোনার ক্ষেত্রে যোগ হয় ভোক্তার আচরণ। স্বর্ণের সরবরাহ আসে দুই ভাবে। নতুন উত্তোলন এবং পুরোনো সোনা বিক্রি। খনি থেকে সোনা উত্তোলন একটি চলমান প্রক্রিয়া। সাধারণত প্রতি বছর কী পরিমাণ সোনা উত্তোলন হবে, তার একটা হিসাব আগেই পাওয়া যায়। সেই হিসেবে খুব বেশি ওঠানামাও করে না পরিমাণ ও দাম। যেমন মহামারির বছর ২০২০ সালেও সোনা উত্তোলন হয়েছিল আগের বছরগুলোর মতোই, ৩ হাজার ৪৭৬ টন।