অস্থিতিশীল দুধের বাজার
শুধু আড়ং নয়, বেড়েছে প্রাণ ও আকিজসহ অন্যান্য কোম্পানির তরল দুধের দামও। বুধবার বাজার ঘুরে প্রাণের যে তরল দুধ পাওয়া যায়, তাতে দাম লেখা ছিল প্রতি লিটার ৯০ টাকা। আকিজ গ্রুপের ফার্মফ্রেশ ব্র্যান্ডের দুধের দামও একই, প্রতি লিটার ৯০ টাকা রাখছিলেন বিক্রেতারা।
এছাড়া জানা গেছে, সরকার পরিচালিত সমবায়ভিত্তিক দুগ্ধজাত পণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি মিল্ক ভিটাও দুধের দাম ৫ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
অন্যদিকে, বাজারে এখন আরলা ফুডসের গুঁড়া দুধের এক কেজির প্যাকেটের দাম ৮৫০ টাকা। যা গত জুনে ছিল প্রতি কেজি ৮০০ টাকা । বাজারে ডিপ্লোমা ব্র্যান্ডের এক কেজি গুঁড়া দুধের দাম এখন ৮৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৭৯০ টাকা।
তরলদুধ ও গুড়োদুধের দাম বাড়ার কারণে অনেকেই পড়েছেন বিপাকে। দুধের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা হতাশ হচ্ছেন দোকানে গিয়ে।
আট মাসের মেয়ের জন্য মৌচাকের খুচরা দোকানে মার্কস গুড়া দুধ কিনতে এসেছেন ওয়্যারলেস এলাকার বাসিন্দা আনসার মিয়া। তিনি জানান, “বড়রা না খেয়েও থাকতে পারে। কিন্তু বাচ্চাদের জন্য লাগবেই। দাম বাড়াটা আমাদের মধ্যবিত্তদের জন্য কষ্টসাধ্য”।
একই কথা আরেক বিক্রেতার সুরে। তিনি জানান, “দিন দিন দুধের দাম যেভাবে বাড়ছে তা আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে”।
এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বিশ্ববাজারে গুঁড়া দুধের দাম বেঁড়েছে। পাশাপাশি ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিতে খরচ বেড়েছে। এতে দুধের দাম বাড়াতে হচ্ছে।
মৌচাক মুদির দোকানী সিরাজুল ইসলাম বলেন, “পাউডার সব দুধই বাজারজাত করা হয় বিদেশ থেইকা। বাইরে থেইকা আসতে খরচ বেশি হয়। সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়”।
আরেক বিক্রেতা বলেন, “আমরা বেশি দামে কিনি তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। গত সপ্তাহে মার্কস দিয়েছে ৬৬০ টাকা কেজি, এ সপ্তাহে কিনতে হইছে ৭০০ টাকা কেজি। ৪০ টাকা কেজিতে বাড়ছে। এরপরও নাকি আরও বাড়বে”।
সম্পাদনা – সাজিদ রাজু