‘বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের সংকট নেই, মজুদও পর্যাপ্ত’
আফরিন মিম, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের কোনো ঘাটতি বা সংকট নেই বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, সংকটের কোনো আশঙ্কাও নেই। ইতোমধ্যে আগামী ৬ মাসের জন্য প্রয়োজনীয় তেল আমদানির প্রক্রিয়া পাইপলাইনে আছে।
বুধবার ‘জ্বালানি তেল সংক্রান্ত গুজব সম্পর্কে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যা’ শীর্ষক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একইসঙ্গে ডিপোগুলোতে পর্যাপ্ত তেল মজুদ থাকার তথ্যও জানানো হয়।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, “একটি স্বার্থানেষী মহল, জ্বালানি তেলের মজুদ নিয়ে অসত্য ও মনগড়া তথ্য প্রচার করছে, যা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ে বলছি যে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের আওতাধীন কোম্পানিসমূহের ডিপোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে।“
এদিকে দেশে জ্বালানি তেলের সংকট হওয়ার কোনও শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান এবিএম আজাদও। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আগামী ৬ মাসের জ্বালানী তেলের আমদানি শিডিউল তৈরি আছে।
ছবি- এবিএম আজাদ, চেয়ারম্যান, বিপিসি
“আমরা বলতে চাই যে, আমাদের এখানে কখনো সংকট হওয়ার কোনও সুযোগ নাই। কারণ ৬ মাসের জন্য আমাদের আমদানি শিডিউল পুরো কনফার্ম করা আছে।”
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজেল মজুদ আছে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৫ মেট্রিক টন বা ৩২ দিনের। জেট-এ-১ মজুদ আছে ৪৪ দিনের ও ফার্নেস ওয়েল মজুদ আছে ৩২ দিনের। অর্থাৎ সক্ষমতা অনুসারে যথেষ্ট পরিমাণ জ্বালানি তেল মজুদ রয়েছে।
এতে তেল আমদানির তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, চলতি বছর জুলাইয়ে ৯টি জাহাজ থেকে ইতোমধ্যে ২ লাখ ৫৫ হাজার টন ডিজেল, দুটি জাহাজ থেকে প্রায় ৪৩ হাজার টন জেট-এ-১, একটি জাহাজ থেকে ২৪ হাজার ৬৭৭ টন অকটেন এবং দুটি জাহাজ থেকে ৫৩ হাজার ৩৫৮ টন ফার্নেস ওয়েল গ্রহণ করা হয়েছে।