বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সাধারণ মানুষের
আফরিন মিম, চীন আন্তর্জাতিক বেতার: বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক অভিঘাত সফলভাবে মোকাবিলা করে চলমান উন্নয়ন বজায় রাখা ও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য সামনে রেখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রস্তাব করা হয় ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
দ্রব্যমূল্যে চড়ার এই সময়ে টিকে থাকার পরিকল্পনায় প্রস্তাব করা বাজেট নিয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক- দুই ধরনের প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছেন নানা শ্রেণির-পেশার মানুষ।
বাজেট নিয়ে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাসিন্দা সাদিয়া জাহান বলেন, “কম্পিঊটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার খুব প্রয়োজনীয় এখনকার সময়ে। এই জিনিসগুলোর দাম বাড়ায় অনেকেই এখন কিনতে পারবে না”
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে স্বস্তি জানিয়ে পোশাক কর্মী অন্তরা খাতুন বলেন, “টিভিতে শুনছি গম, আটা, চিনি, মুড়ির দাম কমবে, এজন্য ভলো লাগছে। আমরা তো আর এতো কিছু বুঝি না। ডাল-ভাত কমে পাইলেই খুশি।”
এই এলাকারই আরেক বাসিন্দা আনোয়ার বলেন ‘মহামারি যেখানে পুরোপুরি যায়নি সেখানে মাস্ক, পিপিইসহ সব কিছুর দাম বাড়বে। এটা শুনে ভালো লাগেনি।
মিরপুরের বাসিন্দা তনিমা হাসানও সন্তুষ্ট নন বাজেট নিয়ে। তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে বলেন, এবারের বাজেটে খুব বেশি দাম কমানো হয়নি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের। যেটা আমাদের জন্য কষ্টের”।
জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ হয়েছে।
বাজেট এবার কেমন হয়েছে তার কোনো খোঁজই রাখেন না দক্ষিণ মুগদা পাড়ার বাসিন্দা ও দিন মজুর হারেছ উদ্দিন।
তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারকে জানান, “চাইলের দাম বাজারে অনেক বেশি। আগে খাইতাম ৭ টাকা, ৫ টাকা কেজি, এখন ৬০ টাকায় কিনতে অয়। আমগো জন্য কষ্ট। বাজেটে এইগুলার দাম কমলে ভালো হইতো”।