নতুন ধারার কৃষি-বিপণন নীতি প্রণয়ন করেছে চীন
“খুব সরল কথায় বলা যায়, কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী ও কৃষকদেরকে নিয়ে একটি সমন্বিত জাতীয় বাজার সৃষ্টি করতে পারলে এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করা গেলে এটার ভবিষ্যৎ ভালো। বিশেষ করে কৃষি পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হবে এবং তাদেরকে আরো বেশি বাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করবে।”
বিভিন্ন খাতের প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে সমন্বয় করতে সহযোগিতা করবে। বিশেষ করে কৃষি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সারা দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাতে সহযোগিতা করবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নে শহর ও গ্রামের ভোক্তা ও উৎপাদনকারীদের মধ্যে তৈরি করবে এক সেতু বন্ধন। আবার কৃষি পণ্য উৎপাদনের খরচ যেমন কমাবে তেমনি বিপুল ভোক্তা চাহিদা তৈরির ফলে বাড়বে কৃষকের আয়ও।
“কৃষি পণ্যের একটি সমন্বিত জাতীয় বাজার তৈরি করার অর্থই হলো সম্পূর্ণ নতুন লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে আমরা এই বাজার স্থাপন করবো। সেখানে পরিকল্পিত অর্থনীতি থাকবে না। এখানে বাজারের চাহিদা ও যোগানের সংকেতই মূলত নির্ধারণ করে দেবে বাজার পরিস্থিতি কেমন হবে, কোন পণ্যের উৎপাদন ও বাজার ব্যবস্থাপনা কেমন হবে। অন্যদিকে, বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে স্থানীয় সরকারগুলোকে তাদের কার্যক্রম কিছুটা ঢেলে সাজাতে হবে।”
কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই উদ্যোগের ফলে কৃষি অর্থনীতি এক ভিন্ন মাত্রার উন্মুক্তকরণের স্বাদ পাবে। ফলে বিদেশী উদ্যোক্তা ও কৃষক যেমন এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে তেমনি অর্থনীতি ও ব্যবসার পরিসর বাড়বে বহুগুণে।
প্রতিবেদন: সাজিদ রাজু