চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-৫৬
এতে একটি উদ্ভাবনী বিন্যাসে উপস্থাপিত লোকশিল্প থেকে শুরু করে মঞ্চে আনা ঐতিহ্যবাহী খাবার তৈরি, কোরিওগ্রাফ করা নৃত্য, জাতিগত মহাকাব্যিক গাথা এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি প্রদর্শন করা হয়। একইসঙ্গে এতে চীনের মূল ভূখণ্ড, হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ানের শিল্পীদেরও পরিবেশনা রাখা হয়।
এবারের গালায় চীনের সিনচিয়াংয়ের প্রাচীন নগর কাশগর বিশেষ গুরুত্ব পায়। এবার প্রথমবারের মতো গালার একটি শাখা মঞ্চ স্থাপন করা হয় কাশগরে। এছাড়া শেনইয়াং, সিয়ান ও ছাংশায়ও শাখা মঞ্চ স্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানটি একাধিক টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং বেশ কয়েকটি নতুন মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচার করা হয়। এবার সিএমজি প্রথমবারের মতো নিয়ে আসে মাল্টি-ক্যামেরা পোর্ট্রেট স্ক্রিন সিগন্যাল, যা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের অনুষ্ঠান দেখাকে সহজ করে দেয়।
গালার দর্শক সংখ্যা গতবছরের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেড়ে ৬৭ কোটি ৯০ লাখ হয়েছে। চান্দ্র নববর্ষের প্রাক্কালে ৯ ফেব্রুয়ারি প্রায় ২০০টি দেশে ৬৮টি ভাষায় সম্প্রচার হয় জাঁকজমপূর্ণ এ অনুষ্ঠান। সারা বিশ্ব থেকে গালায় মুগ্ধ দর্শকরা জানিয়েছেন তাদের উষ্ণ প্রতিক্রিয়া।
চীনা ভাষায় গালা শব্দটিকে ছুনওয়ান বলা হয়ে থাকে। ১৯৮৩ সালে শুরুর পর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দেখা টিভি অনুষ্ঠান হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে সিএমজি বসন্ত উৎসব গালা।
প্রতিবেদন: রওজায়ে জাবিদা ঐশী/সম্পাদনা: মাহমুদ হাশিম।
৩. শাংহাইয়ে শিল্পকলার বাজার
শাংহাই মহানগরীর মঞ্চে চলছে ব্রডওয়ের বিখ্যাত গীতিনাট্য ‘নাতাশা, পিয়ের অ্যান্ড দ্য গ্রেট কমেট অফ এইটিনথ টুয়েলভ’। চীনের শাংহাই মহানগরীর বাসিন্দারা আন্তর্জাতিক সংস্কৃতি বিষয়ে বেশ আগ্রহী। দেশবিদেশের অনেক বিখ্যাত সাংস্কৃতিক দল এখানে প্রায়ই আসেন।