বাংলা

চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-৪৮

CMGPublished: 2023-12-21 22:24:32
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

বছরের শেষের ছুটির বক্স অফিসে ২.৩ বিলিয়ন ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে, আর দর্শক সংখ্যা ৫৭ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। বার্ষিক বক্স অফিস আয় ৫৩ বিলিয়ন ইউয়ান বা ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি হয়েছে।

২. তালিয়াংশান আন্তর্জাতিক থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল

২৯ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ পশ্চিম চীনের সিছুয়ান প্রদেশের দূরবর্তী তালিয়াং পার্বত্যাঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়েছে তালিয়াংশান আন্তর্জাতিক থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল।

সিছুয়ান ও ইয়ুননান প্রদেশের মাঝামাঝি অবস্থিত এখানকার ল্যান্ডমার্ক লুকু লেক, যার পিছনে রয়েছে ছুমুলাংমা বা এভারেস্ট শৃঙ্গের মনোমুগ্ধকর পটভূমি। আর এখানকার ‘ই’ আর ‘মোসুয়ো’ জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতিও আকৃষ্ট করে থিয়েটার ফেস্টিভ্যালে আসা শিল্পীদের।

বিশ্বের ৫০টির বেশি থিয়েটারের শিল্পীরা এতে যোগ দেন। নিজেদের কাজের পাশাপাশি তারা স্থানীয় সংস্কৃতি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন সৃষ্টিও উপস্থাপন করেন ফেস্টিভ্যালে।

যুক্তরাজ্য থেকে আসা শিল্পী ডানিয়েলে কোলানিস জানালেন তার দুর্লভ অভিজ্ঞতার কথা।

‘আমার লেকটিকে ঘিরে প্রচলিত উপকথা শুনেছি এবং পরিচালকের সঙ্গে মিলে নিজেরাই একটি নাট্যাংশ তৈরি করেছি- যার মর্মকথা হলো কিছু একটা খোঁজা, নিজের আত্মপরিচয়কে খোঁজা। আমার স্থানীয় দাদিমাদের কাছে গল্প শুনেছি, এমনকি ছোটদের সঙ্গেও কথা বলেছি, বুঝতে চেয়েছি পরিবার ও আত্মপরিচয় তাদের কাছে কতটা গুরুত্ববহন করে। এ অভিজ্ঞতা থেকে আমরা এমন একটা কিছু করতে চেয়েছি যা সবার হৃদয়ে অনুরণিত হবে’।

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিল্পী স্থানীয় দর্শনীয় স্থানের পাশাপাশি মাতৃতান্ত্রিক মোসুয়ো আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দেখে মুগ্ধ হন। বংশ পরম্পরায় এ সংস্কৃতি রক্ষার উদ্যোগ দেকেও অভিভূত হন ডানিয়েল কোলানিসও।

‘আমি মনে করি এটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক ব্যাপার যে শুধু বুড়োরাই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় কাজ করছে তা নয়, বরং তরুণ প্রজন্মও তাদের সংস্কৃতির বিষয়ে আগ্রহী এবং তা সংরক্ষণে কাজ করছে। আমি এ বিষয়ে ভালো স্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরবো’।

ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে গভীর অনুধাবন শিল্পীদের নতুন উদ্ভাবনের খোরাক জোগায় বলেও মনে করেন ব্রিটিশ এই থিয়েটারকর্মী।

প্রতিবেদন: মাহমুদ হাশিম।

৩. ছাং আন: দুই কবিকে নিয়ে এনিমেটেড চলচ্চিত্র

থাং রাজবংশের সময়কাল। কবি কাও শি স্মৃতিচারণ করেন তার অতীত জীবনের কথা। বড় হওয়ার সাথে নিজ দৃষ্টিকোন থেকে তাঁর সেরা বন্ধু লি পাইয়ের কথাও তুলে ধরতে শুরু করলেন তিনি। আর এভাবেই শুরু হয় ‘ছাং আন’ সিনেমা।

চীনের বিখ্যাত কবি লি পাইয়ের সাথে তার প্রথম দেখা হয় রাজধানী ছাং আনে যাওয়ার সময়। লি পাই প্রথমে তাকে চোর ভেবেছিলেন। ফলে তাদের দুজনের মধ্যে মধ্যে শুরু হয় মারামারি। পরবর্তীতে তারা দুজনই তাদের ভুল বুঝতে পারেন। আসল চোরকেও ধরতে সক্ষম হন তারা। আর এ অভিজ্ঞতাই তাদেরকে পরিণত করে ভালো বন্ধুতে।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn