বাংলা

চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-২৬

CMGPublished: 2023-07-22 20:37:45
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

সংস্থাটির ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াং ইচৌ তুলে ধরেন সামার ক্যাম্পের গুরুত্বে কথা।

‘আমরা খুব খুশি, কারণ এমন সরাসরি যোগাযোগ ও বিনিময়ের মাধ্যমেই আমরা পরস্পরের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন গড়ে তুলতে পারবো, মতৈক্যে পৌঁছতে পারবো এবং তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সকল বাধাকে অতিক্রম করতে পারবো’।

সামার ক্যাম্পে যোগ দেওয়া তাইওয়ানের শিক্ষার্থীরা পরে মূল ভূখন্ডের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনে যান। গোটা গ্রীষ্মকাল জুড়েই চলবে সামার ক্যাম্পের এ কার্যক্রম।

৩. চিরায়ত চীনা সাহিত্য

চাং রুয়োসু: দুই কবিতায় অমরত্ব

চিরায়ত চীনা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত কবি চাং রুয়ো সু। তাঁর মাত্র দুটি কবিতা আধুনিক যুগ পর্যন্ত এসে পৌঁছেছে। কিন্তু এ দুটি কবিতা এতই খ্যাতি পেয়েছে যে বলা হয় চীনের সাহিত্যের অন্যতম প্রধান সম্পদ চাং রুয়োসুর কবিতা।

থাং রাজবংশের সময়কার প্রথম দিকের কবি চাং। তার জন্ম ৬৬০ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যু ৭২০ খ্রিস্টাব্দে। আধুনিক চিয়াংসু প্রদেশের ইয়াংচোও শহরে তার জন্ম। তিনি শানতোং প্রদেশে চাকরি করতেন। তার জীবন সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায় না।

সম্ভবত তিনি সেনাবাহিনীতে ছোট পদে চাকরি করতেন। তাকে মধ্য উ রাজ্যের চারজন কবির অন্যতম বলা হয়। এই চারজন কবি হলেন হ্য চিচাং, চাং সু, বাও রোং এবং চাং রুয়োসু। ইয়াংজি নদীর নিম্ন অববাহিকায় তার বসবাস ছিল। চাং রুয়োসুর যে দুটিমাত্র কবিতা পাওয়া গেছে তার একটিকে চীনা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ বলা হয়। কবিতাটির শিরোনাম ‘এক বসন্তের রাতে নদীবক্ষে চাঁদ’। এই কবিতায় ইয়াংসি নদীর দৃশ্য, ভ্রমণকারীর পথের কষ্ট, গৃহে রেখে আসা প্রিয়জনের স্মৃতি, নদীর জলে চাঁদের ছায়া, জোছনার সৌন্দর্য ইত্যাদি ফুটে উঠেছে।

এক বসন্তের রাতে নদীবক্ষে চাঁদ

বসন্তে নদী ফুলে ওঠে সাগরের মতো

নদীতে জোয়ার আসে ঝলমলে জ্যোৎস্নায়

দশ হাজার লি জুড়ে ওঠে ঢেউ

নদী যেখানে বয়ে যায় সেখানে ছড়িয়ে পড়ে চাঁদের আলো

নদীর বাতাস বয়ে আনে সুরভিত দ্বীপের সৌরভ

যেখানে ফুটন্ত ফুল জ্যোৎস্নায় মনে হয় যেন তুষারকণা

কত প্রজন্ম এলো আর চলে গেল

বছরের পর বছর চাঁদ তো সেই চির পুরাতন, চির নতুন।

অভিযাত্রী আজ রাতে কোন দিকে পাল তুলেছে তার নৌকার?

চাঁদের আলোয় কে মিলিয়ে যাচ্ছে দূরে?

হায়! চাঁদের আলো খেলা করছে সুউচ্চ ভবনে

হয়তো তার ড্রেসিং টেবিলের সামনে সে একা

সে তাকিয়ে আছে চাঁদের দিকে, প্রিয়তম স্বামী তার বহুদূরে

পথিক গতরাতে স্বপ্ন দেখেছে তার দীঘির জলে ঝরে পড়ছে ফুল

হায়, বসন্ত অর্ধেক চলে গেছে এখনও গৃহের পথে তার যাত্রা করা হলো না।

এই জ্যোৎস্নামাখা জোয়ারে কতজন বাড়ি ফিরতে পারবে?

নদীর তীরে বৃক্ষের মাথায় ডুবে যাচ্ছে চাঁদ, শুধু জেগে আছে স্বপ্ন।

চাং রুয়োসুর এই কবিতা পরবর্তিকালের অনেক শিল্পকর্মে প্রভাব বিস্তার করেছে। অনেক শিল্পী তাদের তুলিতে এই কবিতার দৃশ্য এঁকেছেন। লণ্ঠন উৎসবের সময়ও কবিতাটি আবৃত্তি হয়েছে। সুর দিয়ে গাওয়া হয়েছে।

এই কবিতায় প্রথমযুগের থাং কবিতার সারল্য, গীতিময়তা ও সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়েছে।

---------------------------------------------------------------------------

প্রতিবেদন ও কণ্ঠ: রওজায়ে জাবিদা ঐশী, সাজিদ রাজু, শান্তা মারিয়া

অডিও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ

প্রযোজনা ও উপস্থাপনা: মাহমুদ হাশিম

সার্বিক তত্ত্বাবধানে: ইউ কুয়াং ইউয়ে আনন্দী।

首页上一页123 3

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn