চীনের সংস্কৃতি, চীনের ঐতিহ্য-৬: অমর একুশে বইমেলায় চীন বিষয়ক বইয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল পাঠকদের
এবারের অমর একুশে বইমেলায় বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত অসংখ্য বইয়ের মধ্যে ছিলো চীনের বিভিন্ন বিষয় নিলে লেখা বেশ কিছু বই। মেলার পুরো সময় জুড়ে ভালো বিক্রির তালিকায় স্থান করে নেয় এ সব বই।
চীনা ভাষা, সংস্কৃতি, খাবার ও ইতিহাসকে প্রাধান্য দিয়ে বেশ কয়েকটি বই এবারের মেলায় প্রকাশিত হয়। এ সব বইয়ের মধ্যে চীনের মুসলিম চীনের মসজিদ, পিকিং মানবের দেশে, গণচীনে ১৭১ দিন এবং হ্যাপি চাইনিজ নিউ ইয়ারে মানুষের আগ্রহ ছিল বেশি।
চীনের মুসলিম, চীনের মসজিদ বইটি সম্পর্কে এক শিক্ষার্থী জানান তিনি চীনের ইতিহাস ও রাজনীতি নিয়ে জানতে আগ্রহী।
এবারের মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট ও চীনা দূতাবাসের উদ্যোগে ছিলো চায়না বুক হাউস নামের স্টল।
চীনা ভাষা ও সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রকাশিত বইয়ের সমাহার ছিল এই স্টলে। প্রকাশনী সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এধরণের বইয়ের প্রচারণা বাড়ালে চীন সম্পর্কে মানুষের জানার আগ্রহ বাড়বে এবং ক্রেতার সংখ্যাও বাড়বে।
চিরায়ত চীনা সাহিত্য
হ্য চি চাং: চিরায়ত চীনা সাহিত্যের কবি ও ক্যালিগ্রাফার
চীনের থাং রাজবংশের সময়কার একজন বিখ্যাত কবি হ্য চি চাং। তিনি তার ক্যালিগ্রাফি এবং কবিতার জন্য বিখ্যাত। হ্য চি চাংয়ের জন্ম ৬৫৯ খ্রিস্টাব্দে ইয়ুয়ে এলাকার ইয়ংসিং গ্রামে। তার জন্মস্থান বর্তমানে চেচিয়াং প্রদেশের সিয়াওশান শহরের অন্তর্গত। তিনি তরুণ বয়সে সরকারি চাকরির জন্য নির্ধারিত চিনশি পরীক্ষা পাশ করে দরবারের চাকরিতে ঢোকেন ৬৯৫ সালে। তখন সম্রাজ্ঞী উ চ্যথিয়ানের শাসনামল চলছিল। তিনি প্রথমে রাজকীয় একাডেমিতে যোগ দেন পরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ করেন। দীর্ঘ চাকরি জীবনে আরও তিনজন সম্রাটের অধীনে পাঁচ দশক ধরে কাজ করেন।