বাংলা

আপন আলোয়-৮৩

CMGPublished: 2022-08-26 16:24:42
Share
Share this with Close
Messenger Pinterest LinkedIn

ঢাকার সাথে চট্টগ্রামের একটা পার্থক্য ছিল। যারা ঢাকায় শুরু করেন, তাদের অধিকাংশের অভিজ্ঞতা ছিল- কলকাতা থেকে দেখে আসা। মুক্তিযুদ্ধ ফেরত আমাদের অনেক তরুণ যোদ্ধা ছিলেন, তারা দেখেছেন, জেনেছেন; ওগুলোকে মাথায় রেখে শুরু করেছেন।

কিন্তু চট্টগ্রামে সেটা ছিল না। মমতাজ উদ্দীন স্যার লিখছেন, তরুণ একটা ছেলে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে সে একটা নাটক লিখছে। নাটকের ক্ষেত্রে তারা অন্য জায়গায়। যেমন- ঢাকায় শুরু হলো বাকি ইতিহাস, বাদল সরকারের নাটক দিয়ে। আর চট্টগ্রামে শুরু হলো নিজেদের মধ্য দিয়ে শুরু করা- ফলাফল নিম্নচাপ- মানে মুক্তিযুদ্ধের পরে আমাদের তরুণরা কী হয়ে যাচ্ছে, এডিক্টেড হয়ে যাচ্ছে বা অস্ত্র নিয়ে অনেক কিছু করছে। এখান থেকে শুরু হলো চট্টগ্রামের নাটক।

তাহলে চট্টগ্রামে আলাদা একটা শুরু হলো- স্ক্রিপ্টের দিক থেকে, কনটেন্টের দিক থেকে। আবার অভিনেতাদের সেরকম প্রায়োগিক কোনো অভিজ্ঞতা নেই। সে তার তারুণ্য দিয়ে করে যাচ্ছে। যার ফলে তারুণ্য নির্ভর ছিল চট্টগ্রামে গ্রুপ থিয়েটার চর্চা। যার ফলে চট্টগ্রাম এ জায়গায় একটা স্বকীয়তা রেখে দিয়েছে- ডিনাই করা- এখনো কিন্তু এটার প্রভাব আছে।

নিজের নির্দেশিত, মাইকেল মধুসূদন দত্তের বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ নাটকে

আহমেদ ইকবাল হায়দার

দুই.

চট্টগ্রামে আমাদের একটা সমস্যা হচ্ছে স্থায়ীত্বের। যারা তরুণ তাদের আস্তে আস্তে বয়স হয়, তারা চাকরি-বাকরি নিয়ে চলে যায়। আর আমাদের এখানে নাটক যেভাবে এগিয়েছিল সে রকম হল ছিল না। যার ফলে হল না পাওয়া, না করতে পারা- সব মিলিয়ে একটা বিক্ষিপ্ততা তৈরি হয়েছে। এখন সবকিছু ঢাকা নির্ভর, পুরো বাংলাদেশটাই রাজধানী নির্ভর হয়ে গেছে। আর নাট্যকর্মীদের টেলিভিশনে যাওয়া, প্রচারের মধ্যে চলে যাওয়ার বিষয়টাতো রয়েছেই। এ সবই চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক ঐহিত্যে ভাটা পড়ার কারণ।

首页上一页123全文 3 下一页

Share this story on

Messenger Pinterest LinkedIn