আপন আলোয় ৭১
বিংশ শতাব্দির প্রথমদিকে কুয়াংচৌ এবং এর আশপাশে বেশিরভাগ ক্যান্টোনিজ অপেরা দলের প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। এই অপেরার স্বর্ণযুগের পরিবেশনার অনেক দুর্লভ ভিনাইল রেকর্ড এবং অপেরার পোশাকের সমৃদ্ধ সংগ্রহ রয়েছে এখানে।
ক্যান্টোনিজ অপেরা আর্ট মিউজিয়ামের কর্মী থাং ফাইওয়েন বলেন, ‘আশা করি আমাদের কর্মশালার কারণে শিশু ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্যান্টোনিজ অপেরার প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি হবে। সাধারণ একটি মুভমেন্টের জন্যও প্রয়োজন হয় শত শত বছরের প্রাচীন কলাকৌশলের। প্রতিটি মুদ্রার জন্য অনেক দক্ষতার দরকার। এটা শেখার মূল্য আছে।’
ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে জনগণের মধ্যে আবার জনপ্রিয় করতে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে পৌছে দিতে প্রতি সপ্তাহে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ করছে ক্যান্টোনিজ অপেরা আর্ট মিউজিয়াম। ক্যান্টোনিজ অপেরা আর্ট মিউজিয়াম এখন পর্যন্ত তিনটি স্থানীয় স্কুলের প্রায় ৬০০ শিশুকে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
অন্তরঙ্গ আলাপন
ঘটা করে জন্ম-মৃত্যু দিবস পালন হচ্ছে, নজরুল চর্চা হচ্ছে না: সুজিত মোস্তফা
ছবি: নজরুলসংগীত শিল্পী সুজিত মোস্তফা
এক.
জন্মদিনে বা মৃত্যুদিবসে ঘটা করে নজরুলকে স্মরণ করা হয়- ঠিক আছে। কিন্তু এটাতে আসলে তেমন কিছু এসে-যায় না। মানে পত্র-পত্রিকায় কিছু ছবি, খবর হওয়া ইত্যাদি। নজরুলকে নিয়ে যারা কাজ করেন- যেমন আমরা – আমাদের হয়তো নাম ছড়ায়। কেউ কেউ নজরুলকে ব্যাংক করে, তাঁকে উৎস বানিয়ে আসলে নিজের নাম প্রচারেই ব্যস্ত থাকে। নজরুল সেখানে মুখ্য নন। কারণ নজরুল যদি মুখ্য বিষয় থাকতেন তাহলে নজরুল কর্মীদের মধে একতা থাকতো। সেই একতাটাই নেই বাংলাদেশে।
দুই.
সারা বছর ধরে নজরুলকে নিয়ে কাজ করার যে ব্যাপার- সেটা স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে- সেটা হচ্ছে না। যেমন আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গে যান সেখানে দেখবেন মেট্রোরেল ২৪ ঘন্টা রবীন্দ্রসংগীত বাজছে। তারপর সেখানে ওরা যত বাংলা চলচ্চিত্র বানায়, সেগুলোতে ব্যাপকভাবে রবীন্দ্রনাথের গান ব্যবহার করছেন। এটা একটা স্ট্রাটেজি- টু কিপ দ্য সং ইন্টু দ্য মাইন্ড অব দ্য পিপল। কিন্তু আমাদের চলচ্চিত্র মেকাররা নজরুলের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাননি, খুব রেয়ারলি একটা দুটো গান হয়তো ব্যবহার হয়েছে।