আপন আলোয় ৫৭
এ পর্বে অন্তরঙ্গ আলাপনে থাকছেন: মুহম্মদ নূরুল হুদা
অন্তরঙ্গ আলাপন
বইমেলার জন্য স্থায়ী অবকাঠামো দরকার: মুহম্মদ নূরুল হুদা
এক. বইমেলা আয়োজন বাংলা একাডেমির কাজ নয়- যারা বলেন, তারা বিষয়টি না জেনেই বলেন। সরকারের করে দেওয়া আইনে বাংলা একাডেমির নির্ধারিত কাজের অন্যতম বইমেলা আয়োজন। এটা বাংলা একাডেমির ঐতিহ্যেরও একটা ব্যাপার। তবে এটি একটি সামগ্রিক উদ্যোগ- আর এর কেন্দ্রে বাংলা একাডেমি। যতদিন বইমেলা থাকবে বাংলা একাডেমির সঙ্গে তার সংযোগ থাকবেই। আর সুষ্ঠুভাবে মেলা আয়োজনের জন্য একটি স্থায়ী অবকাঠামো ও স্থায়ী কার্যালয় দরকার বলে আমি মনে করি। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করবো।
চীন আন্তর্জাতিক বেতারের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আলাপনে মুহম্মদ নূরুল হুদা। ছবি: তানজিদ বসুনিয়া
দুই. আমার বড়ো চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, বাংলা একাডেমিতে যে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে মানবসম্পদের সঙ্কট রয়েছে সেটা পূরণ করা। বিশেষ করে জ্ঞানচর্চার জন্য যে ধরনের জনবল দরকার, নবীন প্রজন্মের যাদের নেওয়া দরকার তাদেরক এখনো আমরা নিতে পারিনি। এটা একটা বড় বিষয়।
বাংলা একাডেমির ৮টি বিভাগ এবং প্রত্যেক বিভাগের অনেক উপবিভাগ রয়েছে- সেগুলোও এক একটা বিভাগের মতো। সেখানে কাজ করার আছে। তবে সব কিছু ছাপিয়ে যায় অনুবাদের বিষয়। বাংলা ভাষায় বাইরের বহুকিছু অনুবাদ হয়েছে। কিন্তু বাংলাসাহিত্য অনুবাদ হয়ে বাইরে গেছে কম। আমাদের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য অনুবাদ করে বাইরে ছড়িয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। এ বিষয়টিতে আমরা বিশেষভাবে জোর দিচ্ছি।
এ ছাড়া ফোকলোর, ভাষাতত্ত্ব, বাংলা বানান সংস্কার এবং বঙ্গবন্ধু বিষয়ক চর্চায়ও জোর দিচ্ছি আমরা।
তিন. চীনের যে সমস্ত গ্রন্থ বাংলায় অনুবাদ হয়েছে সেগুলো কিন্তু মূলত ট্রানজিট ল্যাংগুয়েজের মাধ্যমে অর্থাৎ হয় ইংরেজি বা ফারসি মাধ্যমে থেকে হয়েছে। কনফুসিয়াসের ওপর কাজ হয়েছে, আমি নিজেও করেছি। সেটিও কিন্তু ইংরেজি ভাষা থেকে।