মানুষ ও প্রকৃতি ২০
বছরের পর বছর সংরক্ষণ প্রচেষ্টার পর বন্য জায়ান্ট পান্ডার সংখ্যা ১৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। এই প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য চীন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসা পেয়েছে। এমনকি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণে চীনকে বিশ্বে আদর্শ হিসেবে অনুসরণ করা হচ্ছে।
প্রতিবেদন: শান্তা মারিয়া
প্রকৃতি সংবাদ
বর্তমানে সারা বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের নানা রকম চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে, যার প্রভাব আগামীর দিনগুলোতে আরও বাড়তে পারে।
একটি বসবাসযোগ্য ও নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলতে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই আমাদের অনুষ্ঠান মানুষ ও প্রকৃতি।
অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে শুনবো প্রকৃতি সংবাদ
টেকসই সংরক্ষণ পদ্ধতিতে শায়ানসি প্রদেশে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে
উত্তর পশ্চিম চীনের শায়ানসি প্রদেশের একটি প্রাকৃতিক সংরক্ষিত এলাকায় একাধিক বিরল প্রজাতির বন্য প্রাণীর সংখ্যা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
শায়ানসি প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী সিআন সিটির প্রশাসনিক এলাকার মধ্যে চোওচি কাউন্টিতে বিশাল এলাকা নিয়ে প্রাকৃতিক সংরক্ষিত অঞ্চল। এখানে প্রথম শ্রেণীর সুরক্ষার অধীনে থাকা স্নাব নোজড বানর, টাকিন এবং কস্তুরী মৃগ বা মাস্ক হরিণের মতো প্রাণীদের ছবি দেখা গেছে ইনফ্রা রেড ক্যামেরায়। এরফলে বোঝা যাচ্ছে এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৩ সালে যখন প্রথম এখানে ইনফ্রারেড ক্যামেরা স্থাপন করা হয় তখনকার তুলনায় এখন অনেক বেশি পরিমাণে বিরল প্রজাতির প্রাণীদের দেখা মিলছে।
সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ম্যানেজমেন্ট স্টেশনের প্রধান হ্য ইয়ালোও বলেন, ‘আমরা পাঁচ বা ছয়টি টাকিন দেখেছি, অনেকগুলো স্নাবনোজড বানর দেখেছি। বানরদের পাঁচটি দলের দেখা পাওয়া গেছে যেখানে প্রতিটি দলে ১০টি করে বানর রয়েছে। দুটি কস্তুরী হরিণ এবং অনেকগুলো বন্য শূকর দেখেছি।’
বনের বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা করার জন্য ২৫ বছর আগে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এরফলে সব প্রজাতির প্রাণীর সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে চারটি প্রথম শ্রেণীর এবং ২০টি দ্বিতীয় শ্রেণীর সুরক্ষায় থাকা প্রাণীর সংখ্যা বেড়েছে। সম্প্রতি বন পুলিশ এবং চোওচি কাউন্টির বন কর্তৃপক্ষ এবং প্রাদেশিক বিরল বন্যপ্রাণী গবেষণা কেন্দ্রের কর্মীরা যৌথভাবে একটি চাইনিজ সেরো উদ্ধার করেছে। এই সেরোকে শিগগিরি অরণ্যে মুক্ত করা হবে।
প্রতিবেদন : শান্তা মারিয়া
সম্পাদনা: মিম
আমাদের প্রিয় এই বিশ্বকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে প্রত্যেকের রয়েছে কিছু ভূমিকা। আসুন জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসি। এই আহ্বান জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি শান্তা মারিয়া। আগামি সপ্তাহে আবার কথা হবে। চাই চিয়েন।
সার্বিক সম্পাদনা : ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী
লেখা, গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা: শান্তা মারিয়া
অডিও পরিকল্পনা ও সম্পাদনা: হোসনে মোবারক সৌরভ