রোগের বিরুদ্ধে লড়ার জাদুকরী ক্ষমতা রয়েছে মধুর
মধু প্রশান্তিদায়ক পানীয়: হালকা গরম দুধের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে শরীরের একরকম প্রশান্তি অনুভব করবেন আপনি।
পাকস্থলীর সুস্থতায় মধু: মধু পাকস্থলীর কাজকে জোরালো করে এবং হজমের গোলমাল দূর করে। এর ব্যবহার হাইড্রোক্রলিক অ্যাসিড ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে অরুচি, বমিভাব, বুকজ্বালা এগুলো দূর করা সম্ভব হয়।
শরীর সতেজ রাখে মধু: শীতের ঠান্ডায় এটি শরীরকে গরম রাখে। এক অথবা দুই চা–চামচ মধু এক কাপ ফুটানো পানির সঙ্গে খেলে শরীর ঝরঝরে ও সতেজ থাকে। এছাড়া গলার স্বর সুন্দর ও মধুর করে মধু।
মধু দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: চোখের জন্যেও ভালো কাজ করে মধু। গাজরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
ওজন কমাতে দুর্দান্ত কাজ করে মধু: মধুতে নেই কোনো চর্বি। পেট পরিষ্কার করে, চর্বি কমায়, ফলে ওজন কমে। মধু প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি। তাই মধু সহজে হজম হয় এবং হজমে সহায়তা করে।
হাড় ও দাঁত গঠনে মধু: মধুর গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে, নখের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে, ভঙ্গুরতা রোধ করে।
মধু উচ্চ রক্তচাপ কমায়: দুই চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মেশান। সকাল-সন্ধ্যা দুইবার এই মিশ্রণ খান। প্রতিনিয়ত এটার ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ কমায়। প্রতিদিন সকালে খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত।
রক্ত পরিষ্কারেও শক্তিশালী মধু: এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মেশান। পেট খালি করার আগে প্রতিদিন এটি খান। এটা রক্ত পরিষ্কার করতে ভীষণ সাহায্য করে। তা ছাড়া রক্তনালিগুলোও পরিষ্কার করে। রক্ত উৎপাদনকারী আয়রন রয়েছে মধুতে। রক্তের উপাদান আরবিসি, ডব্লিউবিসি ও প্লাটিলেটকে কার্যকর ও শক্তিশালী করতে পারে মধু।
হৃদ্রোগকেও দূর রাখে মধু: এক চামচ মৌরি গুঁড়োর সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধুর মিশ্রণ হৃদ্রোগের টনিক হিসেবে কাজ করে। এটা হৃৎপেশিকে সবল করে এবং এর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
রোগের বিরুদ্ধে লড়তে শক্তি জোগায় মধু: শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়িয়ে ,শরীরের ভেতরে এবং বাইরে যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা রয়েছে মধুর। মধুতে আছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী উপাদান, যা অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে আপনাকে।
তাই নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যেস করুন। প্রাকৃতিকভাবেই দূরে রাখুন জটিল সব রোগবালাই। - হাবিবুর রহমান অভি/ রহমান
[কৃতজ্ঞতা: ইশরাত জাহান, পুষ্টিবিদ]