রোগের বিরুদ্ধে লড়ার জাদুকরী ক্ষমতা রয়েছে মধুর
পুষ্টিগুণ বিবেচনায় প্রথম সারিতেই থাকবে মধুর নাম। এটি শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। নিয়মিত মধু সেবন করলে মুক্তি পাওয়া যায় অসংখ্য রোগবালাই থেকে। এ বিষয়টি এখন বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত।
মধুর উপাদান:
মধুতে থাকে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান। ১০০ গ্রাম মধুতে থাকে ২৮৮ ক্যালরি। ফুলের পরাগের মধুতে থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ। আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ লবণ এবং এনকাইম। এতে চর্বি ও প্রোটিন নেই।
রুপচর্চায় মধুর উপকারিতা:
মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মাস্ক হিসেবে মধুর ব্যবহার বেশ জনপ্রিয়। মুখের ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধির জন্যও মধু ব্যবহৃত হয়। মধুতে থাকা অ্যান্টি-সেপ্টিক উপাদান ব্রণের জন্য দায়ী জীবানু দূর করে ত্বককে রাখে সতেজ ও সুন্দর। এছাড়া ত্বকের লোমকূপের ভেতরে থাকা ময়লা দূর করতে সাহায্য করে মধু। চাইলে ছেলেরাও মধু ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ত্বকে অতিরিক্ত তেল রয়েছে তাদের জন্য মধু ভীষণ কার্যকর। মধুতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। ত্বকের ভাঁজ পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে মধু। সব মিলিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে মধুর ব্যবহার হয় বিশ্বজুড়েই।
দাঁতে মধুর ব্যবহার:
দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষায় দুর্দান্ত কাজ করে প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ উপহার মধু। এটা দাঁতের ওপর ব্যবহার করলে দাঁতের ক্ষয়রোধ করে। দাঁতে পাথর জমাট বাঁধা রোধ করে এবং একইসঙ্গে দাঁত পড়ে যাওয়া বিলম্বিত করে। মধু রক্তনালিকে সম্প্রসারিত করে রক্ষা করে মাড়ির স্বাস্থ্য। মধু মিশ্রিত পানি দিয়ে গড়গড়া করলে দূর হবে মাড়ির জ্বালাপোড়া। যদি মুখে কোন রকম ঘা হয় এবং এ কারণে যদি গর্ত হয়, এটি সেই গর্ত ভরাট করতে সাহায্য করে মধু। সেখানে পুঁজ জমতে দেয় না। তাই মুখের ভেতরটাও সুন্দর ও সুস্থ রাখতে শুরু করতে পারেন মধুর ব্যবহার।