যে নিয়ম মানলে ফাটবে না ঠোঁট
বছরজুড়েই ঠোঁট ফেটে থাকে অনেকের। তবে শীতে আবহাওয়া শুকনো থাকে বলে এ সমস্যাটা প্রকট হয়। এ কারণে ঠোঁটের চাই বাড়তি মনোযোগ। এখন থেকেই যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিশেষ কিছু যত্ন নেয়া যায়, তবে পুরো শীতজুড়েই ঠোঁট থাকবে সতেজ ও উজ্জ্বল।
ঠোঁটে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করলেই বিশেষ উপকার মিলবে বলে জানিয়েছে রুপবিশেষজ্ঞরা। এ জন্য ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটের ত্বকে স্ক্র্যাবিং করতে পারেন। আধা চা–চামচ টক দইয়ের সঙ্গে আধা চা–চামচ আইসিং সুগার মিশিয়ে নিন। বাড়িতে থাকা চিনি বেটেই তৈরি করা যাবে এই আইসিং সুগার। এই মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ধুয়ে ফেলার আগে কিছুটা সময় ম্যাসাজ করে নিন। এতে রক্ত চলাচল ভালো হওয়ার পাশাপাশি ঠোঁটের মরা ত্বকও উঠে আসবে। এই স্ক্র্যাবার দিয়ে ত্বক পরিষ্কারের পর খোসাসহ লেবুর টুকরো ঠোঁটে ঘষুন। এতে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হবে। তারপর ঠোঁট পানিতে ধুয়ে লিপবাম লাগিয়ে নিন। যাদের ঠোঁট অতিরিক্ত শুষ্ক তারা অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন। সপ্তাহে তিন দিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন রুপবিশেষজ্ঞরা।
ঠোঁটে কি সরাসরি গ্লিসারিন দেয়া যায়?
শীতে অনেকেই ঠোঁটে সরাসরি গ্লিসারিনের ব্যবহার করেন। এতে উপকার তো হয়ই না, উল্টো ঠোঁটের ত্বকের ক্ষতি করে। এ জন্য গ্লিসারিনের সঙ্গে অন্য উপকরণ ব্যবহারের পরামর্শ দিলেন শোভন। এই যেমন ১০ ভাগ গোলাপজলের সঙ্গে ৩ ভাগ গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
লিপবাম বা ময়েশ্চারাইজার
ত্বকে শুষ্কতা অনুভব করলে লিপবাম বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ঠোঁটের ত্বক বেশি শুষ্ক, তারা অবশ্যই কোকোয়া বাটারসমৃদ্ধ পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করবেন। চাইলে লিপবামের পরিবর্তে বাটার বা মাখনও ব্যবহার করতে পারেন।
ফাটা ঠোঁটে কি লিপস্টিক দেওয়া যাবে?