দেহঘড়ি পর্ব-৯৪
এমই/সিএফএস সম্পর্কে পরিসংখ্যান যে তথ্য দেয়, প্রকৃত অবস্থা তার চেয়ে খারাপ। কারণ এ রোগে অনেকে নিভৃতে ভোগেন এবং পরিসংখ্যানে অদৃশ্য থাকেন। যেমন বর্তমানে অনেক মানুষ কোভিড-১৯-এ ভোগার গর দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তির সাথে লড়াই করছেন। টিসিএম পদ্ধতি যেমন আকুপাংচার, চাইনিজ ভেষজ ও মক্সিবাশন ক্লান্তি, বিষণ্নতা, মানসিক অস্পষ্টতা, খারাপ ঘুম এবং সিএফএস’র অন্যান্য উপসর্গ দূর করতে সাহায্য করতে পারে। আপনি বা আপনার প্রিয় কেউ যদি দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি সিড্রোমে ভোগেন এবং মাসের পর মাস যদি তার শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে আকুপাংচার ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করতে হবে।- রহমান
# আপনার ডাক্তার
দেহঘড়ির আজকের পর্বে আমরা কথা বলেছি অনিয়মিত ঋতুচক্ত নিয়ে। হরমোনের প্রভাবে পরিণত নারীদের প্রতি চন্দ্রমাসে একবার জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ শরীর থেকে বের হয়ে যায় সেটাই মাসিক বা ঋতুচক্র। মাসিকের এই নিয়মে কখনও কখনও ব্যতয় ঘটে। যখন এই ব্যতয় ঘটে এবং মাসিক ঋতুচক্র প্রতি মাসে হয় না অথবা দুই মাস বা তারও বেশি সময় পর পর হয়, তখন তাকে অনিয়মিত ঋতুচক্র বলে। অনিয়মিত পিরিয়ড নারী স্বাস্থ্যের জন্য বেশ খারাপ।
অনিয়মিত পিরিয়ড বা একেবারেই পিরিয়ড বন্ধ হওয়া পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা পিওএস’র জন্য হয়ে থাকে। তবে আরও অনেক কারণ আছে, যার জন্য পিরিয়ড নিয়মিত হয় না। যেমন অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা, অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাবার গ্রহণ, মানসিক চাপের মধ্যে থাকা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বাস করা, অপরিচ্ছন্ন থাকা, মদ্যপান বা ধূমপান করা, ইত্যাদি। টিনেজার ও মধ্যবয়সী নারীদের মধ্যে অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর পেছনের কারণটি হলো হরমোন। আর লম্বা সময় মানসিক চাপে থাকলে অনেকেরই মাসিক দেরিতে হতে পারে। ওজন খুব কম গেলে কিংবা জরায়ুতে ফাইব্রয়েডস হলেও এগুলো পিরিয়ডের স্বাভাবিক চক্র বাধাগ্রস্ত হতে পারে। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করা যেমন পিল, প্যাঁচ, ইনজেকশন ও আইইউডি’র ব্যবহার পিরিয়ডে সমস্যা ঘটাতে পারে। এছাড়া বড় কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন থাইরয়েডের সমস্যা বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের কারণেও পিরিয়ড দেরিতে হতে দেখা যায়। অনিয়মিত মাসিচক্রের কারণ, প্রতিকার ও চিকিৎসা নিয়ে কথা আজ আমাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা। তিনি প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎকদের সংগঠন অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকলিজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)’র মহাসচিব।
‘দেহঘড়ি’ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই আমরা। আমাদের ফেইসবুক পেইজ facebook.com/CMGbangla অথবা ওয়েবসাইট bengali.cri.cn’র মাধ্যমে জানাতে পারেন আপনাদের মতামত বা পরামর্শ।